কোন বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে লাল পতাকা চিহ্নিত ও লকডাউন হবে
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) থেকে মো. ইমরান ইসলাম: করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি রোধে বৃহস্পতিবার ২৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বিশেষ বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করেছে স্থানীয় প্রশাসন ।
বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) দুপুরে চলমান বিশেষ বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে এক নির্দেশনা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়েছে, দোকান, মার্কেট সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। ঔষধের দোকান সার্বক্ষনিক খোলা রাখা যাবে । হোটেল রেস্তোরা বন্ধ থাকবে, তবে মিষ্টির দোকানে পার্সেল আকারে বিক্রি করা যাবে।সকল প্রকার চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে । সকল প্রকার সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচা বাজার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয় করতে পারবে।সকল প্রকার এনজিও কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পশুর হাট বন্ধ থাকবে। তবে খামার থেকে অনলাইনে পশু ক্রয় বিক্রয় করা যাবে। জেলার সীমান্তবর্তী জেলাসমূহের সাথে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পণ্য পরিবহন এবং জরুরী সেবা ও জরুরী সরকারি গাড়ীর ক্ষেত্রে এ নিদের্শনা প্রযোজ্য না। পাড়া বা মহল্লা ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে মসজিদের মাইক থেকে নিয়মিত জনসচেতনতা মূলক ঘোষণার ব্যবস্হা করতে হবে। স্কুল বা মাদ্রাসা শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে পাড়া বা মহল্লায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহনের ব্যবস্হা করতে হবে। অতি জরুরী ছাড়া সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ীর বাইরে আসা যাবে না। জনসমাগম হয় এমন কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। মাস্ক পরিধান কিংবা স্বাস্থ্য বিধি পালনে ব্যত্যয় ব্যক্তিকে রাস্তায় পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন বাড়ীতে কোভিড আক্রান্ত রোগী থাকলে উক্তবাড়ী পুরোপুরি লকডাউন করতে হবে এবং ঐ বাড়ীর সকল সদস্য লকডাউনে থাকবে। সে ক্ষেত্রে এ ধরণের বাড়ী লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। একই পাড়া/মহল্লায় একাধিক বাড়ীতে সংক্রমন চিহ্নিত হলে উক্ত পাড়া/মহল্লা লকডাউনে থাকবে।