বিজনেসটুডে২৪
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে গেলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল পথ অস্থিতিশীল হবে এবং তার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে। আর সামগ্রিকভাবে বেড়ে যাবে শিপিং কস্ট।
গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস ) বিদ্যমান পরিস্থিতি মূল্যাণ করে এই আশংকা করছে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্লেষণ।
বিরোধ বিমার চড়া হারের কারণে সামগ্রিকভাবে বেড়ে যাবে শিপিং কস্ট। এরপ্রভাব পড়বে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। একই ভাবে আকাশ পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাবে। কারণ আকাশ পথে চলাচলে দূরত্ব বৃদ্ধি পাবে।
বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের প্রায় ৬০ লাখ অভিবাসীও ঝুঁকিতে পড়বে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রেমিটেন্সে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইরান ও ইরাকসহ আশপাশের দেশগুলোতে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকরা যেনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেন সেজন্য দূতাবাসগুলোকে সহায়তা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিবিসি’কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বিরাট সংখ্যক জনবল সেখানে কাজ করে, পরিস্থিতি খারাপ হলে তাদের অসুবিধা হবে। আমরা বলেছি, যাতে তাদের কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য তাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে ইরান এবং ইরাকে বাংলাদেশের যারা আছেন, তাদের আমরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।”
বাগদাদের গ্রিনজোনে আছড়ে পড়ল মিসাইল
বুধবার গভীর রাতে পর পর দুটি মিসাইল আছড়ে পড়ল ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে। হাই সিকিউরিটি এলাকা, যেখানে মার্কিন সহ অন্য দেশের দূতাবাসগুলি রয়েছে, সেখানে এই হামলা চালানো হয়।
মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের মিসাইল ছোঁড়ার একদন পরেই ঘটল ঘটনা। বাগদাদ এলাকার মানুষ দুটি তীব্র বিস্ফোরণের শব্ধ শুনতে পান, এবং বুঝতে পারেন ফের একবার হামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইরাকের সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ১৫টি মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান। তাঁরা জানয় যে ওই মিসাইল হামলায় ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যমে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের এক উচ্চপদস্থ আফিসার বলেছেন, ৮০ জন ‘আমেরিকান টেররিস্ট’-কে মারা হয়েছে ওই মিসাইল হামলায়।
যদিও ইরানের এ দাবিকে ফুতকারে উড়িয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, কোনও মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়নি। ন্যুনতম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমেরিকার স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় হোয়াইট হাউসে বিবৃতি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমেরিকা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।