বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১১ শতাংশ। এ হিসাবে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের (৪ হাজার ২৬১ কোটি) পণ্য রফতানি হতে পারে। আর সেবা খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১৪ শতাংশ।
এ হিসাবে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন (৭৪০ কোটি) ডলারের সেবা রফতানি হতে পারে বাংলাদেশ থেকে। পণ্য ও সেবা মিলিয়ে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি হতে পারে আগামী অর্থবছর।
সম্প্রতি রফতানির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সভায় উপস্থাপিত মতামতের ভিত্তিতে দ্রুতই চূড়ান্ত হবে আগামী অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা।
রফতানির প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণে বেশকিছু অনুমান বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে চলমান অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য, ২০২১ ও ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রক্ষেপণ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদনের আলোকে ২০২১ সালে ৮ শতাংশ হারে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের আকার বৃদ্ধি, মোট বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ শ্লথ হওয়া।
চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছর। অর্থবছর শেষে রফতানি কত হতে পারে সেই প্রক্ষেপণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভায়। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর শেষে পণ্য রফতানি হতে পারে ৩ হাজার ৮৩৯ কোটি ডলারের আর সেবা রফতানি হতে পারে ৬৪৯ কোটি ডলারের।
২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের রফতানি খাতের প্রধান পণ্যগুলোর রফতানি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের পরিসংখ্যানও উঠে এসেছে আলোচনায়। যেখানে বলা হয়, পোশাক পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। হোম টেক্সটাইলে হতে পারে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। পাট ও পাটজাত পণ্যে রফতানি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২০ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১২ শতাংশ। ওষুধ পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কৃষিপণ্যে রফতানি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১২ শতাংশ।
প্রকৌশল পণ্যে রফতানি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২০ শতাংশ। হিমায়িত ও তাজা মাছ রফতানি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৮ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১০ শতাংশ এবং সিরামিক পণ্যে রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ প্রত্যাশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।