Home চট্টগ্রাম কমেনি তেলের দাম, স্বস্তি মিলছে না আনাজেও

কমেনি তেলের দাম, স্বস্তি মিলছে না আনাজেও

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: দুদিন আগে কোরবানির ঈদ আর করোনা মহামারির কথা জানিয়ে সয়াবিনের দাম প্রতি লিটারে ৪টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব দেখা যায়নি।
দাম কমার পর এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হওয়ার কথা ১৪৯ টাকায়। আর তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ টাকায়। এছাড়া পাঁচ লিটার বোতলের তেল ৭১২ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৭১৮ থেকে ৭২০ টাকায়। অন্যদিকে খোলা এক লিটার সয়াবিনে তেলের দাম পড়ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। দাম কমার পর তা বিক্রি হওয়ার কথা ১২৫ টাকায়। তাছাড়া পাম সুপার এক লিটার ১০৮ টাকায় পাওয়ার কথা থাকলেও কেজিতে কিনতে হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে নতুন নির্ধারিত তেল এখনো আসেনি। এখন বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে সব আগের কেনা তেল। 
এদিকে বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজিও। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চাল কুমড়া (জালি) প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। 
বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩০০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ইলিশ মাছ এক হাজার থেকে ১২শ টাকা ও মলা মাছ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। আর খাসির মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা