Home চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে চলছে কোরবানি পশুরহাটের প্রস্তুতি

চট্টগ্রামে চলছে কোরবানি পশুরহাটের প্রস্তুতি


নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: চলছে কঠোর লকডাউন। এরমধ্যেও থেমে নেই কোরবানি পশু বিক্রির প্রস্তুতি। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবারে পশুর বাজার কেমন হবে তা নিয়ে শঙ্কায় পশু ব্যবসায়ীরা।

আর সপ্তাহ তিনেকের কম মাঝখানে। তারপর উদযাপিত হবে ইসলাম ধর্মাম্বলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে নগরীর কোরবানি পশুর তিনটি স্থায়ী ও তিনটি অস্থায়ী হাটে চলছে গরুর খাইন তৈরির কাজ।
অস্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে কর্ণফুলী পশুর হাট, সল্টগোলা রেলক্রসিং হাট এবং পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ। স্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে সাগরিকা পশুর হাট, বিবিরহাট পশুর হাট ও পোস্তারপাড় হাট।
শনিবার (৩ জুলাই) সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, ইতোমধ্যে কয়েকটি পশুর খাইন তৈরি করা হয়েছে। এগুলোতে কিছু কিছু গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। কয়েকজন কর্মচারী মিলে খাইন তৈরির কাজ করছেন। কেউ বাঁশ কেটে ঘের তৈরি করছেন, আবার কেউ চালা তৈরির কাজ করছেন।
সাগরিকা বাজার ইজারাদারের প্রতিনিধি নুর আলম বলেন, ‘আমাদের বাজার তৈরির কাজ চলছে। কর্মচারীরা মাঠের বিভিন্ন অংশে বাঁশের ঘের ও খাইন তৈরি করছেন। তবে লকডাউনের কারণে এবারের বাজার নিয়ে ব্যবসায়ীরা একটু শঙ্কায় আছেন।’


তারা জানান, ‘উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা লকডাউন শেষ হলেই গরু নিয়ে বাজারে আসবেন। আশাকরি এ বছর বাজারে গরু-ছাগলের ঘাটতি হবে না।
টিকে গ্রুপের গরুর হাটের তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহিদ চৌধুরী বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, আমরা অল্প অল্প করে হাট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি এই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে। আমাদের এখানে বেশির ভাগ গরু আসে চট্টগ্রামের আশে- পাশের জেলাগুলো থেকে। হাটের কাজ শেষ হলে বেপারিরা গরু নিয়ে আসবে।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে বলেন, ‘বাজারে আমরা স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার জন্য সাবান রাখবো। সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা বাজারের চারিদিকে ব্যানার-পোস্টার লাগাবো।’
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিপ্তরের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৯ হাজার। যার বিপরীতে আনোয়ারা, সাতকানিয়া, ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলা মিলে চট্টগ্রাম জেলায় স্থানীয় উৎপাদন ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৪টি। যার মধ্যে গবাদি পশু আছে ৫ লাখ ১০ হাজার ৪০টি, মহিষ আছে ৬৩ হাজার ১৩৬টি, ছাগল ও ভেড়া আছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩টি ও অন্যান্য পশু আছে ৯৫টি। অর্থাৎ, ৫২ হাজারের মতো কোরবানির পশু ঘাটতি আছে।