বিজনেসটুডে২ ডেস্ক
সিঙ্গাপুরে শুরু হয়েছে করোনার গোষ্ঠীসংক্রমণ। সম্প্রতি একটি হোটেলের লাউঞ্জে জড়ো হওয়া মানুষজনের মধ্যে ৪২ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের ধারণা ভিয়েতনামের এক মহিলা বোর্ডারের মাধ্যমেই সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। সেখানে এখন বিনামূল্যে কোভিড টেস্টিং-এর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
ভিয়েতনামের ওই মহিলা গত রবিবার হাসপাতালে ভর্তি হন। সিঙ্গাপুর পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ওই হোটেলে ২০ জন বিদেশিনী গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দক্ষিণ কোরীয়, মালয়েশীয়, থাই এবং ভিয়েতনামিরা ছিলেন। তাঁদের যে কারও মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ই কুং পুলিশকে সতর্ক করে বলেছেন, কোথাও যেন বেশি লোকের জমায়েত না হয়। হোটেলের বোর্ডারদের মধ্যে জাহাজের এক যাত্রী ছিলেন। তিনি করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে জাহাজের প্রায় ৩ হাজার যাত্রীকে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে।
এর আগে জানা যায়, এশিয়ায় করোনার নতুন এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। গত মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ায় ৪৭ হাজার ৮৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে তা রেকর্ড। মাত্র একমাস আগেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের আশপাশে।
পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে শীঘ্রই হাসপাতালে বেডের অভাব দেখা দেবে। অভাব হবে অক্সিজেনেরও।
গত মে মাসে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন তুঙ্গে, তখন একদিনে ৪ লক্ষ মানুষ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় ভারতের লোকসংখ্যা পাঁচগুণ। মঙ্গলবার এদেশে সংক্রমণ নেমেছে ৩৩ হাজারের নীচে। গত সাতদিন ধরে ইন্দোনেশিয়ায় দৈনিক গড় মৃত্যুহার ৯০৭। মাত্র একমাস আগেও সেদেশে দৈনিক মৃত্যুহার ছিল ১৮১। ভারতে মৃত্যুহার তুলনায় বেশি। গড়ে প্রতিদিন করোনায় মারা যাচ্ছেন ১০৭২ জন।
ইন্দোনেশিয়ায় এখনও পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভারতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১৪ শতাংশ মানুষ। ব্লুমবার্গের ভ্যাকসিন ট্র্যাকার জানাচ্ছে, সেই তুলনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে এবং আমেরিকায় টিকাকরণের হার অনেক বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৪৬ শতাংশ এবং আমেরিকায় ৫২ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় পজিটিভ কোভিড টেস্ট রেট ২৭ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় পজিটিভিটি রেট বেশি হওয়ার অর্থ, সরকার কেবল অত্যন্ত অসুস্থ ব্যক্তিদেরই টেস্ট করছে। তার মানে অনেক কোভিড রোগীরই সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। জাভা ও পর্যটন কেন্দ্র বালিতে গত ৩ জুলাই নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। কিন্তু তাতেও ওই দুই জায়গায় ভিড় সেভাবে কমেনি।