বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গাজীপুর: কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির এক সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১ মিনিটে ওই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া জেএমবি সদস্যের নাম- আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদ (৩৭)। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শাখা কানাইকরস্থান এলাকার ফজলুল হক চৌধুরীর ছেলে।
পনির কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ৫৪১/এ নম্বর কয়েদি ছিলেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ফাঁসি কার্যকরে ছিলেন জল্লাদ শাহজাহান। মৃত্যু নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডাক্তার আশিফ রহমান ইভান।
ফাঁসি কার্যকরের সময় বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাসরীন সুলতানা, সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জাহির হাসান, জেলার দেবব্রতসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৫ সালে ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে বোমা বিস্ফোরণে সহযোগিতা করেন আসাদুজ্জামান পনির। ওই বোমা হামলায় ৮ জন নিহত এবং অনেক লোক আহত হন।
এ ঘটনায় জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা হয়।
এর মধ্যে নেত্রকোনা থানায় দায়ের করা এক মামলায় (মামলা নং- ০৮ (১২)২০০৫ ধারা-১২০ বি/৩০২/৩৪/১০৯) আদালত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।
আদালতের আদেশে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এছাড়াও পনিরের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে নেত্রকোনা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড, কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় একটিতে ১০ বছর আর অন্যটিতে ২০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
কোতয়ালী থানায় আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
