মেহেরপুর থেকে জাহিদ মাহমুদ: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরের বারাদী বাজার সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী ছাগলের হাটে ক্রেতা- বিক্রেতায় জম-জমাট থাকে প্রতিবছর। কিন্তু করোনার কারণে এখন সেই হাটে, নেই কেনা-বেচার হাঁক-ডাক। হাটে প্রচুর পরিমানে ছাগল আসলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে।
কোরবানির বাজারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মেহেরপুরের ব্লাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে বেপারিরা ভিড় করে থাকে। মেহেরপুর জেলাতে পশুহাট হিসাবে সর্বপ্রথম বারাদী ছাগলের হাট প্রতিষ্ঠিত হয়। যার বয়স শত বছর পেরিয়ে গেছে। এতদিনে বারাদি ছাগল হাটের কদর কমেনি একবিন্দুও। সারা বছর জুড়েই সপ্তাহের শনি ও বুধবার ক্রেতা বিক্রেতায় ভরপুর থাকে হাটে।
প্রতি বছর এসময়ে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ফরিদপুর, রাজবাড়ি থেকে বেপারিরা ভিড় করতেন। ট্রাকবোঝােই করে কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর করোনার কারণে বিক্রেতারা তাদের খামার বা বাড়িতে পালিত ছাগল হাটে বিক্রি না হওয়ায় ফিরিয়ে নিতে হচ্ছে। তবে ঈদের আরো কয়েকদিন বাকি থাকায় এবছর এখনও বিক্রির আশায় আছেন, ছাগল পালনকারীরা।
চুয়াডাঙ্গা ছাগল ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারীর কারণে আমরা হাটে ছাগল রিসিভ করতে পারিনি। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এসেছি, ছাগল বিক্রি করতে। কিন্তু এসে দেখি ক্রেতা নেই।
ছাগল কিনতে আসা মুজিবনগরের জাহিদ হাসান জানান, মেহেরপুর জেলার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ছাগলের হাট হিসেবে পরিচিত বারাদির এই হাটটি। গত কয়েক বছরের তুলনায় বিপুল পরিমাণে ছাগল আসলেও প্রতিটি ছাগলের দাম আকাশ ছোঁয়া। তাই ছাগল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।