রাস্তার পাশে একজন চা বিক্রেতার আয় আর কতইবা হতে পারে? মানুষের চোখে একজন চা-সিঙারা বিক্রেতা সাধারণত নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পর্যায়ের মানুষ। কিন্তু এই ধারণাকে ছাপিয়ে গেছে ভারতের একটি খবর। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এ ধরনের খুচরা পেশার সঙ্গে যুক্ত ২৫০ জনের ব্যাংক ব্যালেন্স, নাকি কোটি কোটি টাকা। সম্প্রতি ভারতের আয়কর দপ্তরের একটি তদন্তে উঠে এসেছে এমন চমকপ্রদ তথ্য। যা দেখে এবং শুনে কার্যত অবাক তদন্তকারীরা।
রাস্তায় চাট-সিঙারা-কচুরি-চা বিক্রি করেন এমন প্রায় ২৫০ জন কোটিপতির খোঁজ মিলেছে কানপুরে। তদন্তকারীরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে খুচরা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ওই সমস্ত কোটিপতিরা।
কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই, তাই তাঁদের দিতে হয় না আয়কর। এমনকি এরা ভারতীয় ফুড সেফটি এবং অথরিটির কোনও সার্টিফিকেট ছাড়াই দিনের পর দিন খাবার বিক্রি করে চলেছেন। আয়কর দপ্তরের তদন্তে উঠে এসেছে কানপুরে সামান্য ছাঁট মালের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির কাছে তিনটে দামি গাড়ি রয়েছে। যা কিনতে হিমশিম খাবে যে কোনো সাধারণ মানুষ।
তদন্তে দেখা গিয়েছে, বছরে এক টাকাও কর বা জিএসটি দেন না ওই খুচরা ব্যবসায়ীরা। অথচ কেউ কেউ চার বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন। আর্যনগর ও স্বরূপনগরের একজন পান বিক্রেতা নাকি মহামারির সময়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন। দিনের পর দির কীভাবে চলছিল এই দুর্নীতি?
জানা গিয়েছে, সরকারের কর ফাঁকি দিকে কেউ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে রোজগারের টাকা গচ্ছিত করেছে। কেউ বা পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল সম্পত্তি কিনে রেখেছে। ২০১৯-এ এই ধরনের ঘটনা ধরা পড়েছিল আলিগড়ে। তবে এত বড় মাপের দুর্নীতি এই প্রথম।
সূত্র- জিনিউজ