যেখানে ভিড় করে রয়েছে ঝাঁক ঝাঁক পায়রা
কলকাতা: বর্ধমানের গোপালপুরের বনেদি পরিবারের সদস্য বিজয় কুমার সাহা। লক্ষ্মী দেবীর আবাহনীর জন্য তিনি পুষেছিলেন পায়রা। পায়রাদের থাকার জন্য বানিয়ে ছিলেন একটি পাকা ঘর। ঘরটি, পায়রাগুলির সঙ্গে এক শতাব্দি ইতিমধ্যেই পার করে ফেলেছে। কিন্তু এখনও স্বমহিমায় বিরাজ করছে একশ দশ বছরের পুরনো ঘরটি। বিজয় কুমার সাহার ছেলে শিবদাস সাহা, বর্তমানে পায়রার ঘরটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। ওই ঘরটিতে পাঁচশোর বেশি পায়রার বসবাস।দুর্গাপুরের গোপালপুর অঞ্চলে সাহা পরিবারের বসবাস। সেখানে গেলে দেখা যাবে, একটি লম্বা পিলারের উপর পাকা ঘর। যেখানে ভিড় করে রয়েছে ঝাঁক ঝাঁক পায়রা।
১১০ বছর আগে এই বাড়িটি বানিয়েছিলেন বিজয় কুমার সাহা। যেটিকে এখনও পর্যন্ত সংরক্ষণ করে যাচ্ছেন তার ছেলে শিবদাস বাবু। প্রতিবছরই নিয়ম করে, এই ঘরটির সংস্কার করা হয়। খাবারের ব্যবস্থা করা হয় পায়রাগুলির জন্য।প্রতিদিন গড়ে তিন কেজি ধান খরচ হয় সব পায়রাগুলি খাওয়ার জন্য। ৫০০ অধিক পায়রা ওই ঘরটিতে বসবাস করে। বর্ষাকালে ধানের খরচ হয় বেশি। কারণ এই সময় পায়রাগুলি দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করে ওই বাড়িটিতে। তুলনামূলক কম ধান খরচ হয় শীতকালে। কারণ, পায়রাগুলি তখন মাঠের ধান থেকে নিজেদের খাবারের সংস্থান করে নেয়।
এ বিষয়ে ৭৪ বছর বয়সী, প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক শিবদাস সাহা জানিয়েছেন, তার বাবা বিজয় বাবুর শখ ছিল পায়রা পোশা। বিজয় বাবু জুট মিলের কর্মচারী ছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল, লক্ষ্মী দেবীর আবাহনের জন্য পায়রা পোষা অত্যন্ত মঙ্গলকর। তাই তিনি পায়রা পুষতে শুরু করেন। তখনি পায়রাদের থাকার জন্য ওই বাড়িটি তৈরি করা হয়। সেই জায়গা থেকেই পায়রা পোষার শখ ভর করে শিবদাস বাবুর ওপর। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত পায়রা পুষে চলেছেন তিনি। পায়রাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছেন। পাশাপাশি সংরক্ষণ করে চলেছেন পায়রাদের থাকার জন্য শতাব্দী প্রাচীন ওই ঘরটিরও।