Home সারাদেশ ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হচ্ছে কুয়াকাটার বেলাভূমি

ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হচ্ছে কুয়াকাটার বেলাভূমি

পটুয়াখালী থেকে গোফরান পলাশ: পূর্নিমার জোঁ’র অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট বিক্ষুব্ধ ঢেউয়ের আঘাতে ক্রমশ: বিলীন হচ্ছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে সৈকতের বনাঞ্চলসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অপরিকল্পিত সৈকত রক্ষা বাঁধ, সৈকত রক্ষায় নিম্নমানের উপকরন ব্যবহার, সৈকত রক্ষা বাঁধ নির্মানের সময় যথাযথ তদারকি না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সৈকতের বালু ক্ষয় হয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দিন দিন শ্রীহীন হয়ে পড়ছে।

পানি উন্নায়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই
কুয়াকাটা সৈকতের মূল পয়েন্ট থেকে পুর্বদিকে ১ হাজার মিটার ও পশ্চিমে ৫শ
মিটার জিভি কোম্পানির জিওটিউপ ব্যাগ দিয়ে সৈকত রক্ষার জন্য কাজ করে
পাউবো। এ কাজে ব্যায় ধরা হয় ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের জিওটিউপ ব্যাগ দিয়ে কাজ করায় ঢেউয়ের প্রথম ঝাপটায়ই ব্যাগ থেকে বালু বের হয়ে গেছে। এ ছাড়া মাটি থেকে পানির স্তর বেশী এবং ব্যাগের উচ্চতা কম হওয়ায় কোন ভাবেই ঢেউয়ের তান্ডব ঠেকানো যাচ্ছেনা।

অবস্থা এমন স্বাভাবিক ঢেউয়ের ঝাপটাটেই কুয়াকাটা সৈকতের বালুক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষ বলছে পাবলিক চলাচলে ব্যাগ ছিড়ে বালু বের হয়ে গেছে। সৈকতের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হান্নান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতি বছর বর্ষা এলেই দায়সারা গোছের কাজ করে বিল তোলেন। এ কারনে সৈকত রক্ষায় কোনো টেকসই কাজ হয়না।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ’কুয়াকাটা পৌরসভায় সৈকত রক্ষা কাজের কোনো বাজেট নেই। সৈকত রক্ষায় সরকারের গ্রোইন বাঁধ করা উচিত।

কলাপাড়া পানি উন্নায়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় আমাদের অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরজমিনে পরিদর্শন করেছে। তবে পূর্ব পার্শ্বে জরুরীভাবে সৈকত রক্ষায় কিছু জিও ব্যাগ দেয়ার স্বিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থায়ী প্রকল্প পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।