Home আন্তর্জাতিক করোনায় আক্রান্তের শীর্ষে আমেরিকা

করোনায় আক্রান্তের শীর্ষে আমেরিকা

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ ১৩ হাজার।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ২৯০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ২০০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ লাখ ১৩ হাজার ১০১ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫২০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৯ হাজার ৬৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৮ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৯৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৭৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ২০৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯০ হাজার ৫৫২ জনের।

এদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৫৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৮৫৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬২৬ জনের।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৭৩ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৫ লাখ ৭১ হাজার ২৯৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ২৪৪ জন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৯ জন, রাশিয়ায় ৬২ লাখ ১৮ হাজার ৫০২ জন, যুক্তরাজ্যে ৫৮ লাখ ১ হাজার ৫৬১ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৬ জন, তুরস্কে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৩০ জন, স্পেনে ৪৪ লাখ ২২ হাজার ২৯১ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ৩০৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৭৬৪ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৭ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ৫১৫ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ২৯ জন, তুরস্কে ৫১ হাজার ১৮৪ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৪৪২ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ১৩১ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৬ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।