Home চট্টগ্রাম সুজনের আহ্বানে ঘরে ঘরে আলোর মিছিল

সুজনের আহ্বানে ঘরে ঘরে আলোর মিছিল

শহীদ আব্দুর রবের কবরকে যারা বুলডোজার দিয়ে নিশ্চিহ্ন করতে চায় তারা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের প্রেতাত্মা: সুজন

অর্থলিপ্সু হায়েনাদের হাত থেকে সিআরবিসহ চট্টগ্রামের ভূপ্রকৃতি রক্ষায় লকডাউনকালীন সময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের আহবানে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচী পালন করেন নগরবাসী।

শুক্রবার (৩০ জুলাই ২০২১ইং) সন্ধ্যা ৭.০০টায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে একযোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

কর্মসূচীর প্রাক্কালে সুজন বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রেলের কর্তাব্যক্তিরা যাত্রীসেবা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে রেলের সম্পত্তি হরিলুট করে তাদের পকেট ভারী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে এবং এসব দুর্নীতিবাজ তস্করদের হাত থেকে রেলকে রক্ষা করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান তিনি।

তিনি বলেন এটা চট্টগ্রামের ভূপ্রকৃতি বাঁচানোর আন্দোলন। চট্টগ্রামের সকল জনগন এ আন্দোলনের সাথে আছে। সুতরাং এ আন্দোলনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের প্রতিটি সম্পদ রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ আব্দুর রবের কবরকে যারা বুলডোজার দিয়ে নিশ্চিহ্ন করতে চায় তারা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের প্রেতাত্মা। এরা বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের সাথে জনগনের দূরত্ব সৃষ্টি করতে চায়। এদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া যাবেনা বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন তিনি।

তিনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন আগস্ট মাস শোকের মাস। এ মাসে বাঙ্গালির জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করেছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা। তাই শোকের মাসে আমরা কোন কর্মসূচী দিতে চাইনা। এ মাসকে আমরা ভাবগম্ভীর্যভাবে পালন করতে চাই। কিন্তু জনগনের ভাবগম্ভীর্যকে কাজে লাগিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ যদি সিআরবিতে কোন ধরনের নির্মাণ কাজ করতে চায় তাহলে চট্টগ্রামবাসী লাঠি হাতে তাদের প্রতিহত করবে বলে জানান তিনি। তিনি চট্টগ্রামবাসীকে লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকারও আহবান জানান। তিনি বলেন সিআরবি নিয়ে যদি কেউ কোন হটকারী সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে চট্টগ্রামবাসী শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তা প্রতিহত করবে। তিনি সরকারের কাছে শুধু চট্টগ্রামে নয় সারা বাংলাদেশে রেলওয়ের যতো অব্যহৃত জায়গা আছে সেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অনুরোধ জানান। নচেৎ অর্থলিপ্সু হায়েনাদের হাত থেকে এসব মূল্যবান জায়গা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

সন্ধ্যা ৭.০০টা হতে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭.১০টা পর্যন্ত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচীতে স্বস্ব অবস্থানে ও নগরী এবং নগরীর বাহিরে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্পটে নানাবিধ শ্রেণীপেশার ব্যক্তিবর্গদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. ইলিয়াছ, দৈনিক আজাদীর প্রধান প্রতিবেদক হাসান আকবর, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সৈয়দ আহমেদ কবীর, ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত, মিসেস তাহমিনা বেগম, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, সাংবাদিক প্রীতম দাশ, কমল দাশ, আবৃত্তিকার প্রণব চৌধুরী, সংগঠক শৈবাল পাড়িয়াল, মহানগর সৈনিক লীগের আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল কবির, মাঈনুল হক লিমন, মহিউদ্দিন শাহ, তারেক হায়দার বাবু, উজ্জ্বল সরকার, এমদাদুল হাসান বাবু, এনামুল হক মিলন, মোরশেদ আলম, শিশির কান্তি বল, কামরুল হোসেন, সমীর মহাজন লিটন, অনির্বাণ দাশ বাবু, শ্যামাপদ চৌধুরী, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, সহ-সভাপতি নাঈম রনি, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, ইরফানুল আলম জিকু, ফরহাদ আনোয়ার চৌধুরী তপু, শেখ মহিউদ্দিন বাবু, সব্যসাচী টিটু, রাহুল দত্ত, আলবিন নূর নাহিন, শেখর দাশ প্রমূখ।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তির