*করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বিপজ্জনক: সিভিল সার্জন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: করোনার দুঃসময়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। গেল জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ জন ও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
সোমবার (২ আগস্ট) সিভিল সার্জন বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বিপজ্জনক। গেল জুলাই মাসে চট্টগ্রামে ৫ জন ডেঙ্গুজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ জন। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার আগেই সিটি কর্পোরেশনকে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে বলেছি। মশক নিধনের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করতে হবে। তা না হলে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, চমেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।
এদিকে চট্টগ্রামে মশার উপদ্রব বাড়লেও মশক নিধনের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই সিটি কর্পোরেশনের। এমন পরিস্থিতিতে নগরের ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্তের বার্তা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষক দল।
সিটি মেয়রএম রেজাউল করিম চৌধুরী বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু্র বিস্তার এখন পর্যন্ত ঢাকার মতো প্রকট নয় এবং এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। ডেঙ্গু রোগের বিস্তার প্রতিরোধে যেসব অতীব জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা প্রয়োগে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের জনবলকে সক্রিয় রাখতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এডিস মশার প্রজননের উৎসগুলোতে প্রতিষেধক ওষুধ ছিটানো এবং নালা-নর্দমা-খাল ও জলাশয় আবর্জনামুক্ত রাখতে যাবতীয় কর্মপন্থা চলমান রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলরদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে তদারকি ও নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্য মতে, চট্টগ্রামে মশক নিধন কার্যক্রমে সিটি কর্পোরেশনকে তিন কোটি টাকা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিধন ওষুধ ও মালামাল বাবদ ছয় কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত চার বছরে মশক নিধনে সাত কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় করেছে সিটি কর্পোরেশন। তবে বাস্তবে এর সুফল পাননি বলে অভিযোগ নাগরিকদের।