Home Second Lead চট্টগ্রামে আগস্টের ৭ দিনে শনাক্ত ৭,৬১৯

চট্টগ্রামে আগস্টের ৭ দিনে শনাক্ত ৭,৬১৯


*জুলাইয়ে শনাক্ত ২৩ হাজার, মৃত্যু আড়াই’শর বেশি
*আগস্টের প্রথম ৭ দিনে মৃত্যু ৮১ জনের

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি 
চট্টগ্রাম: গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯২৮ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সংক্রমণ হার ৩৪ শতাংশের বেশি। কয়েক মাস আগে করোনায় সংক্রমণ হার ছিল ১০ থেকে ১৩ শতাংশ। জুন মাসের সংক্রমণের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ থাকলেও জুলাই-আগস্টে ৩৪ থেকে ৩৬ শতাংশের বেশি থাকছে। 
জুলাইয়ে রেকর্ড সংখ্যাক রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আগস্টে সে পথেই হাঁটছে। জুলাইয়ে ২৩ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে আড়াই’শর বেশি। 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগস্ট আরও ভয়ঙ্কর হবে। টানা বিধিনিষেধেও আগস্টের প্রথম ৭ দিনের শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৬১৯ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের।
প্রতিদিন যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া গ্রামে সংক্রমণ বাড়ছে খুব দ্রুত। একেক দিন একেক উপজেলায় রোগী বাড়ছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। 
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৮৮ জন। শনাক্তের মধ্যে নগরে ৬৬ হাজার ৩৭৫ জন। উপজেলায় ২৩ হাজার ২১৩ জন। নতুন ৮ মৃত্যুর মধ্যে ৩ জন নগরে, ৫ জন উপজেলার। এ পর্যন্ত মোট ১০৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬১১ জন নগরের। উপজেলায় মারা গেছেন ৪৩৩ জন। 
শনিবার (৭ আগস্ট) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 
এ দিন, ২৭২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৫৬৩ জন। উপজেলায় ৩৬৫ জন। 
বর্তমানে নগরের পাশাপাশি উপজেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চিকিৎসকরা বলছেন ভারতীয় ধরনে (ডেল্টা প্রজাতি) চট্টগ্রামে সংক্রমণ হার বাড়ছে। একই সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর তিল ধারণের জায়গা নেই। হাসপাতালে শয্যার জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে আইসিইউ শয্যা চেয়ে প্রতিনিয়ত পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়ে পোস্ট দিচ্ছে মানুষ। সামনে আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে।
চিকিৎসকরা বলছেন স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে এতো বেশি রোগী বাড়ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ গতি পেয়েছে। এছাড়া যারা বাসায় আক্রান্ত হন, অধিকাংশ আইসোলেশনে যায় না। সবার সাথে মেলামেশা করার ফলে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। 
করোনার সংক্রমণ বাড়লে মানুষ মাস্ক পরতে উদাসীন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। মাস্ক পরতে হবে। হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
উপজেলায় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে হাটহাজারীতে ৯৯ জন , লোহাগাড়ার দুজন, সাতকানিয়ার ছয় জন, বাঁশখালীর ১০ জন, আনোয়ারার সাত জন, চন্দনাইশের পাঁচ জন, পটিয়ার ৩৩ জন, বোয়ালখালীর ৬০ জন, রাঙ্গুনিয়ার দুই জন, রাউজানের ৬৮ জন, ফটিকছড়ির ৩৮ জন, , সীতাকুণ্ডের ৩০ জন, মিরসরাইয়ের চার জন ও সন্দ্বীপের এক জন রয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৬২, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯৭ জনের নমুনায় ১০ জন শনাক্ত, ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩৪ নমুনায় ৬৪ জনের পজেটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪২৫ নমুনায় ১৯৭ জনের করোনা শনাক্ত, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯০ নমুনায়  ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
১১৯ এন্টিজেন টেস্টে ২২  জনের করোনা শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শেভরনে ২৩৪ জনের নমুনায় ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১২৩ নমুনায় ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৩৯ নমুনায় ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।