Home শেয়ারবাজার নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার বন্ধ

নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার বন্ধ

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। তালিকাভুক্তির ৪ বছরে এটা বন্ধ হয়ে গেল।

বন্ধ থাকার বিষয়টি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হলেও তা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানায়নি কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি নূরানী ডাইংয়ের কারখানা ও প্রধান কার্যালয় সরেজমিন পরিদর্শন করে তা বন্ধ পায়। ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি প্রতিনিধিদল।

৩টি ইস্যু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে নূরানী ডাইংয়ের আইপিওতে (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) ইস্যু ব্যবস্থাপক ছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস ও সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড। সে সময় পুঁজিবাজার থেকে অভিহিত মূল্যে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করে ফেনীর কোম্পানি নূরানী ডাইং। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর স্বল্প সময়ের মধ্যেই কোম্পানিটির আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। যদিও আইপিওর অর্থে ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে। নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন ও কারখানা ভবন তৈরির পরও ২০১৯-২০ হিসাব বছর থেকেই লোকসান দেখাতে শুরু করে নূরানী ডাইং। সে সময় কোম্পানিটি ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা লোকসান দেখায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানিটি লোকসান দেখিয়েছে ১১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৫ পয়সা।

তালিকাভুক্তির সময়ই কোম্পানিটি দুর্বল মৌলভিত্তির ছিল। কিন্তু ডিসক্লোজারভিত্তিক আইপিও পদ্ধতির সুযোগ নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়ে নূরানী ডাইংয়ের তালিকাভুক্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

নূরানী ডাইংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার। অবশিষ্ট শেয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। কোম্পানিটি বন্ধ থাকলেও ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন হচ্ছে। ডিএসইতে মঙ্গলবার নূরানী ডাইংয়ের প্রতি শেয়ার ১০ টাকা ৬০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।