Home আন্তর্জাতিক আতঙ্কে প্রথম আফগান মহিলা মেয়র

আতঙ্কে প্রথম আফগান মহিলা মেয়র

জারিফ গাফারি

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ায় সেদেশের মহিলাদের কপালে কী দুর্ভোগ আছে, তা নিয়ে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা মাথাচাড়া দিয়েছে। দুদশক আগে তালিবানি শাসন মহিলাদের কাছে  দুঃস্বপ্নের অধ্যায় হয়ে উঠেছিল। এবার অবশ্য মহিলাদের প্রতি মানসিকতা বদলের ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। বিবৃতি দিয়ে তালিবান বলেছে, তারা শত্রু, বিরোধীদের ক্ষমা করে দেবে। এমনকী মহিলাদের সরকারে সামিল হওয়ার ডাকও দিয়েছে তারা। কিন্তু কথা দিয়েও কি কথা রাখবে তারা, এই সন্দেহ কাটছে না।

২০১৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা মেয়র হয়েছিলেন জারিফ গাফারি। ইতিহাস সৃষ্টি করা জারিফের বিন্দুমাত্র ভরসা নেই তালিবানের কথায়। তিনি এখন বাড়িতে রয়েছেন, তালিবানের অপেক্ষা  করছেন। জারিফ প্রথম দিন মেয়রের চেয়ারে বসেই উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু রুখে দাঁড়ান। ওয়ারডাক প্রদেশের রাজধানী ময়দান শহরের মেয়র পদে কাজ চালিয়ে যান। তালিবানের ঘাঁটি শহরটি।

সেই জারিফ একটি ব্রিটিশ দৈনিককে বলেছেন, আমি বাড়িতে ওদের অপেক্ষায় আছি।  আমার বা আমার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। আমার সঙ্গে স্বামী বসে আছেন। ওরা আমার মতো লোকজনের জন্যই আসবে, আমায় মারবে।  পরিবার ছেড়ে যেতে পারব না। আর যাবই বা কোথায়?

গত বছরের মার্চে তত্কালীন ট্রাম্প প্রশাসন জারিফকে আন্তর্জাতিক সাহসী মহিলা পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছিল, তখন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, আফগান মহিলারা তালিবান জমানাকে ভুলতে পারেননি, তাই সবসময় ভবিষ্যত্ নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ থাকবে।

তালিবানি জমানায় মহিলারা বোরকা পরতে বাধ্য হতেন, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাড়ি থেকে বেরতে পারতেন না। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালিবান আমলে তাদের বাড়ির বাইরে কাজ করার, এমনকী স্কুলে যাওয়ার অনুমতিও ছিল না।

তবে বর্তমান অস্থিরতার মধ্যেও আশা হারাননি জারিফ।  তিনি বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম সচেতন। তারা জানে, কী ঘটছে। ওদের কাছে সোস্যাল মিডিয়া আছে। ওরা যোগাযোগ রাখে। ওরাই আমাদের অগ্রগতি, অধিকারের জন্য লড়ে যাবে বলে আমার ধারণা। এ দেশের একটা ভবিষ্যত্ আছে, মনে হয়।