Home First Lead কান্দাহারে তালিবানের সঙ্গে চিনা দূতের বৈঠক

কান্দাহারে তালিবানের সঙ্গে চিনা দূতের বৈঠক

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

গত বৃহস্পতিবার তালিবানের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন আফগানিস্তানে চিনের দূত ওয়াং ইউ এবং জঙ্গি সংগঠন জৈশ ই মহম্মদের চিফ অপারেশনাল কম্যান্ডার মুফতি আবদুল রউফ আজহার। তালিবান কাবুল দখল করার পরে দু’জনই তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওইসময় তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্ব মোল্লা আবদুল গনি বরাদর ও প্রয়াত প্রাক্তন নেতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব কান্দাহারে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার পাকিস্তানের দূতের সঙ্গে দেখা করে আফগানিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেন ওয়াং ইউ। বৃহস্পতিবার তিনি সম্ভবত সরাসরি তালিবানের তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোল্লা বরাদরের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বেজিং। একটি সূত্রে জানা যায়, আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের দিকে নজর আছে চিনের। পুনর্গঠনে সাহায্য করার নামে তারা আফগানিস্তানের লিথিয়াম ও তামার খনিগুলি দখল করতে চায়।

জৈশের কম্যান্ডার মুফতি রউফ দেখা করেছেন মোল্লা ইয়াকুবের সঙ্গে। মুফতি রউফের দাদা তথা জৈশের শীর্ষ নেতা মৌলানা মাসুদ আজহার ন’য়ের দশকের শুরুতে আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে থাকতেন। সেখানে ছিল হরকত উল আনসার নামে এক জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ শিবির। ১৯৯৪ সালে শ্রীনগরের কাছে মৌলানা মাসুদ আজহার ধরা পড়েন। পরে জঙ্গিরা আইসি ৮১৪ নামে একটি বিমান ছিনতাই করে যাত্রীদের বিনিময়ে মৌলানা মাসুদ আজহারকে মুক্ত করে।

তালিবান অবশ্য প্রকাশ্যে জানিয়েছে, তারা কোনও জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করবে না। কিন্তু আল কায়েদা ও জৈশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে তাদের।

শনিবার সকালে জানা যায়, কাবুল বিমানবন্দরে তালিবানের হাতে বন্দি হয়েছেন প্রায় দেড়শ জন। তাঁদের অধিকাংশই ভারতীয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর পেতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতে। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এই খবর এখনও নিশ্চিত করেনি ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এখনও বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এদিন সকালেই ভারতের বিমানে আফগানিস্তান ছেড়েছেন ৮৫ জন দেশীয় নাগরিক। তাঁদের নির্বিঘ্নে তাজকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বিমানবন্দরে তালিবানের এই দাপট দেখানো শুরু হল। গেটের সামনে আটকে রাখা হল কয়েকজন ভারতীয় সহ প্রায় ১৫০ যাত্রীকে।

তাজকিস্তানে ভারতের সি-১৩০ জে বিমান পৌঁছনোর সময় কাবুল বিমানবন্দরে আরও একটি ভারতীয় বিমান দাঁড়িয়ে ছিল। আরও দেশীয় নাগরিককে তালিবানের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য অপেক্ষা করছিল সেই বিমান।