বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে। বিমানের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোববার দুপুরে নওশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিমানের বেশ কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওশাদের মৃত্যুর ঘোষণা এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। তিনি এখনও লাইফ সাপোর্টে আছেন।
সূত্রে জানা গেছে, নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে কোমায় থাকা নওশাদ ক্লিনিক্যালি ডেড। পাইলট নওশাদের স্বজনরা এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তাদের দাবি, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানো হোক। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তারাই সিদ্ধান্ত দিক। এ দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদের মৃত্যুর খবর সঠিক নয়। এখনও তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
এদিকে নওশাদের দুই বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইউম অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাইই নিরাপদে ছিলেন। এদিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।