বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
দুদশক বাদে কাবুলে তালিবান ফেরার পর প্রথম তাদের এক নেতার (Taliban leader) ইন্টারভিউ করে তাক লাগিয়ে দেওয়া আফগান মহিলা সাংবাদিক (Female journalist) বেহেস্তা আরখান্দ ( Behesta Arghand) ভয়ে দেশত্যাগ করলেন। তোলো নিউজের হয়ে কাজ করতেন তিনি। তালিবানের ক্ষমতা দখলের দুদিনের ১৭ আগস্ট মাথায় বড় খবর ব্রেক করেন বেহেস্তা। ওই নেতাকে সাক্ষাত্কারে বেহেস্তা কাবুলে তালিবানের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি নিয়ে স্পষ্ট প্রশ্ন করেন, তাদের ভবিষ্যত্ প্ল্যান কী, তাও জানতে চান। আফগানিস্তানের (Afghanistan) সংবাদ মাধ্যমে প্রথম সেই একজন মহিলা সাংবাদিক কোনও তালিবান নেতার ইন্টারভিউ করেন। ফলে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। সোস্যাল মিডিয়ায় সেই ইন্টারভিউয়ের ছবি বেরতেই রাতারাতি স্টার হয়ে যান বেহেস্তা। তালিবান প্রথম যখন দুদশক আগে ক্ষমতায় ছিল, তখন কোনও মহিলা সাংবাদিক সাহস করে তাদের কোনও নেতার ইন্টারভিউ করবেন, এটা অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু সেই বেহেস্তাই ঠিক করেছেন, দেশ ছাড়বেন। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, তোলো নিউজে তিনি এক মাস, ২০ দিন কাজ করেছেন, তারপর এল তালিবান!
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ভাল হলে, তালিবান মৌখিক প্রতিশ্রুতি কার্যকর করলেই তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বেহেস্তা।
তোলো নিউজের পরিচালক মবি গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ সাদ মোহসেনিও বেহেস্তার সেই ইন্টারভিউয়ের প্রশংসা করে বুক বাজিয়ে বলেছিলেন, কাজ বন্ধ হবে না। কিন্তু সেই তিনি এখন চরম সঙ্কটে পড়েছেন স্রোতের মতো সাংবাদিকরা কাজ ছাড়তে থাকায়। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, বলতে গেলে আমাদের নামী রিপোর্টার, সাংবাদিকদের সকলেই চাকরি ছেড়েছেন। তাঁদের বদলি নতুন লোকজনকে নিয়ে চালাতে হিমসিম খাচ্ছি।
এদিকে বেহেস্তার খ্যাতির মুকুটে নতুন পালক যোগ হয়েছে। তালিবানের হত্যার চেষ্টা থেকে রক্ষা পাওয়া মালালা ইউসুফজাইয়ের একটি সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তিনি। এই প্রথম কোনও আফগান টেলিভিশনে মালালার ইন্টারভিউ বেরচ্ছে, জানিয়েছে তোলো নিউজ।
তালিবান ক্ষমতা দখল করলেও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অস্থির হয়ে রয়েছে। মার্কিন সেনার বাহিনী সরানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির অসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে তারা। সেই থেকে তালিবানের ভয়ে একাধিক দেশ নিজেদের লোকজনকে ফিরিয়ে নিচ্ছে। এমনকী আফগানরাও দেশ ছাড়তে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছন।