বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে ভুয়ো সাংবাদিক । একই বাড়িতে পাঁচ ভাই ই সাংবাদিক। কেও জমির দালালি করে ,কেও আবার ঠিকাদারি । কোন ভাইয়ের আবার দিনে ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম হলেই হলো । এক লাইন খবর লিখতে জানে না,কিন্তু ফেস বুক প্রোফাইলে এম এ, এম এস সি। এইরকম ভুয়ো সাংবাদিক দের অবাধ বিচরণে রাশ টানতে চলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এক কথায় ভুয়ো সাংবাদিক ধরতে বড় পদক্ষেপ নিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। তামিলনাড়ুর সরকারকে এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রেস কাউন্সিল গঠন করার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ আদালত। নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা হয়েছে , সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি,অভিজ্ঞ সাংবাদিক, সরকারি দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিস আধিকারিকদের নিয়ে গঠন করতে হবে প্রেস কাউন্সিল। বিচারপতি এন কিরুবাকরণ ও পি ভেলমুরুগণের ডিভিশন বেঞ্চের কথায় , কোভিড বিধিনিষেধকালে অসংখ্য গাড়ির সামনে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে বহু ভুয়ো সাংবাদিক হাতেনাতে ধরা পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ধৃতদের কেউ কেউ আবার বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িত।কেও জমির দালালি করে, কেও আবার ব্ল্যাক মেল করে ২০০-৩০০ টাকার জন্যও । এরা মুলত ভুয়ো ওয়েব পোর্টালে ভিত্তিহীন , ব্যক্তিগত আক্রমণ , সামান্য টাকার বিনিময়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার মত অপরাধ করে চলেছে। । আদালত জানায়, তথ্য ও জনসংযোগ দফতর এবিষয়ে অবগত হলেও বড় বড় মিডিয়ার ভয়ে আধিকারিকরা চুপ করে থাকে। কারন বড় মিডিয়া হাউসের বেশীরভাগ সাংবাদিকরা এই ভুয়ো সাংবাদিকদের ব্যবহার করে ফিল্ড এ না গিয়েও খবর সংগ্রহ করে থাকে।
কী কী দায়িত্ব থাকছে প্রেস কাউন্সিলের উপর ?
মাদ্রাজ হাইকোর্ট স্পষ্ট করেছে যে , তামিলনাড়ুর যেকোনও প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক সংগঠনকে স্বীকৃত করর দায়ভার প্রেস কাউন্সিলরের উপর বর্তাবে।খালি কয়েকজন মিলে সংগঠন করে নিলেই হবে না। সংগঠনগুলির অন্দরের ম্যানেজমেন্টও নির্ধারিত হবে প্রেস কাউন্সিল দ্বারাই। সাংবাদিকদের গণপরিবহনে ছাড় বা অন্যান্য সুবিধা এবার সরাসরি রাজ্য সরকার আর দিতে পারবে না । দিতে পারবে না এক্রিডেশন কার্ডও, বরং তার জন্য অনুমতি নিতে হবে প্রেস কাউন্সিলের থেকেই।কোন সংবাদ পত্র বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন ব্ল্যাক মেলিং এর অভিযোগ এলে , তার কড়া শাস্তির বন্দোবস্ত করবে কাউন্সিল স্বয়ং । প্রয়োজনে সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিক কে তলব করার ক্ষমতাও থাকছে কাউন্সিলের উপর।