বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানের মহল্লায় মহল্লায় অবিবাহিত, বিধবা মহিলা, মেয়েদের তালিকা সংগ্রহ করছে, তাদের বিয়ে করবে বলে। তারা হবে ‘তালিবানের স্ত্রী’ । কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, তালিবান নেতারা এলাকায় এলাকায় অবিবাহিত মেয়েদের লিস্ট চেয়েছে, যাদের বিয়ে করবে তালিবান ক্যাডাররা। সেই ভয়ে ঘরের মেয়ে-বউ-পরিচিত আত্মীয়াদের আফগানিস্তানের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বহু পরিবার। এমন খবরের মধ্যেই এবার শোনা গেল, দেশ ছাড়ার জন্য নাকি মহিলাদের অচেনা, অজানা পুরুষদের বিয়ে করতে হচ্ছে একপ্রকার বাধ্য হয়ে!
আফগান উদ্বাস্তুদের বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত মার্কিন প্রশাসনিক অফিসাররা বিদেশ দপ্তরকে সতর্ক করে জানিয়েছে, দেশ থেকে পালাতে অনেক মেয়ে,মহিলাকে আফগান পুরুষদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আফগান পুরুষরা মহিলাদের তাদের বিয়ে করা বউ সাজতে বাধ্য করছে পরিস্থতির সুযোগ নিয়ে। এইসব লোক কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে মহিলাদের স্ত্রী সাজতে বলছে। এখানেই শেষ নয়, আরও নানা অসাধু চক্র কারবার ফেঁদে বসেছে নারী, মহিলাদের অসহায়তার সুযোগে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, একাধিক নামী, সমাজে পরিচিতি আছে, এমন পরিবার ঘরের মেয়ে-বউদের তালিবানের নাগাল বাঁচিয়ে বিদেশে বের করে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশ ছাড়ার বৈধতা আছে, এমন পুরুষদের তাদের স্বামী সাজতে হাজার হাজার ডলার দিচ্ছে!
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্কিন কূটনীতিকদের কাছ থেকে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন বিদেশ দপ্তর। এমন মানুষ পাচারের ঘটনা চিহ্নিত করতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে তারা। যেসব দেশে আফগান শরণার্থীরা যাত্রাপথে বিরতি নিতে থামে, সেইসব দেশের সাহায্য নিচ্ছে আমেরিকা। সাধারণতঃ আফগানিস্তান ছেড়ে পালানো লোকজনকে প্রথমে আমিরাতের মতো অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বিমানে তুলে আমেরিকায় পাঠানোর আগে কিছুদিন স্থানীয় শরণার্থী শিবিরে রাখা হয় আইনি প্রক্রিয়া সারতে।
তালিবানের প্রত্যাবর্তনের পর একদিকে যেমন আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক পড়েছে, তেমনই সবচেয়ে বিপন্ন, অসহায় বোধ করছেন মহিলারা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন।