নিজাম উদ্দিন লাভলু,
রামগড়:
রামগড়- সাব্রুম স্থল বন্দর চালুর লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী ফেনীনদীর উপর নির্মিয়মান মৈত্রী সেতুর কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইতঃমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
মৈত্রী সেতু-১ এর বাংলাদেশ অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রামগড়ে দু’দেশের কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেতুর রামগড় অংশে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে সেতুর এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
বৈঠক শুরুর আগে দুদেশের কর্মকর্তারা এপ্রোচ রোডের জায়গা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। রোডটি কি ধরণের হবে এবং নির্মাণ কাজ কিভাবে করা হবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত অবহিত করা হয় বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের।
বৈঠকে সেদেশের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা এই এপ্রোচ রোডের কাজ শুরু করতে চায়। কাজটি শেষ করতে সময় লাগবে এক মাস। দৈনিক ১২জন ভারতীয় শ্রমিক এখানে কাজ করবে। এসব শ্রমিক ও নির্মাণকাজের যাবতীয় সরঞ্জামের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয় বাংলাদেশের কাছে। এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের তরফ থেকে।
বৈঠকে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার ডিস্ট্রিক ম্যাজিষ্ট্রেট ড. টি.কে দেবনাথ এবং খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: সাঈদ মেমেন মজুমদার ছাড়াও ভারতীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হাইওয়েস এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এর নির্বাহি পরিচালক একে খুশোয়া, সংস্থাটির জিএম আদিল সিং, ত্রিবেন্দ্র কুমার, ডিজিএম প্রদীপ কুমার ভুইয়া, সাব্রুমের এসডিএম টি.কে চাকমা, দীনেশ চন্দ্র আগরওয়াল কনস্ট্রাকশন ফার্মের প্রজেক্ট ম্যানেজার রাংগুরাজ সিং ও প্রকৌশলী মো: মতিউর রহমান।
বাংলাদেশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন রামগড়স্থ ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো: তারিকুল হাকিম, রামগড় উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, সড়ক জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: আব্দুল ওয়াহিদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, নির্বাহি প্রকৌশলী শাকিল মো: ফয়সাল ও এসডিই সবুজ চাকমা প্রমুখ।
বৈঠকে, ভারতের পক্ষ থেকে মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
মূল সেতু থেকে ২৪০ মিটার দীর্ঘ এপ্রোচ রোডটি রামগড়- বারৈয়ারহাট(চট্টগ্রাম) মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হবে। ভারত ইতিমধ্যে ঐ এপ্রোচ রোডের জন্য অধিগ্রহণ করা জায়গাটিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। দীনেশ চন্দ্র আগরওয়াল কনস্ট্রাকশন নামে ভারতের গুজরাটের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটির কাজ করছে। সেদেশের ন্যাশনাল হাইওয়েস এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) নামে সংস্থাটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের তদারকি করছে।