Home আন্তর্জাতিক পছন্দের ছাঁচে ঢেলে আফগানিস্তানকে বদলে ফেলতে চায় তালিবান

পছন্দের ছাঁচে ঢেলে আফগানিস্তানকে বদলে ফেলতে চায় তালিবান

তালিবান

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

ক্ষমতা দখল করে নিজেদের  পছন্দের ছাঁচে ঢেলে আফগানিস্তানকে বদলে ফেলতে চাইছে তালিবান । বিশ বছর আগে ক্ষমতায় থাকাকালে তারা মেয়েদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এবার মসনদে বসে তালিবান কোএডুকেশন নিষিদ্ধ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা কক্ষে বা একই ঘরের মাঝখানে পর্দা টেনে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। ছেলেদের স্কুল খুললেও মেয়েদের স্কুল খুলছে না। মেয়েদের শিক্ষাদপ্তরটাই তুলে দিয়ে তারা চালু করেছে নীতি-নৈতিকতা সংক্রান্ত দপ্তর। এবার এক কলমের খোঁচায় গত ২০ বছরে হাইস্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া পড়ুয়াদের দিয়ে কোনও কাজ হবে না বলে জানিয়ে দিল তারা। তাদের ডিগ্রিই অচল, বোঝাতে চাইছে তালিবান।

কাবুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারারদের সঙ্গে বৈঠকে তালিবানের অস্থায়ী উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হক্কানি জানিয়েছেন, ২০০০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত যারা হাইস্কুল থেকে স্নাতক হয়েছে, তারা কোনও কাজেই লাগবে না।

টোলো নিউজ জানাচ্ছে, তালিবানের বক্তব্যের অর্থ, তারা যখন মার্কিন সমর্থনপুষ্ট হামিদ  কারজাই ও আশরফ গনির সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছিল, তখন যারা  পড়াশোনা করে স্নাতক হয়েছে, তাদের শিক্ষার কোনও মূল্যই থাকছে না।

এখনকার পড়ুয়া ও আগামী প্রজন্মের মধ্যে দেশের কাজে লাগবে, এমন মূল্যবোধ যাঁরা ছড়াতে পারবেন, ভবিষ্যতে আফগানিস্তান যাঁদের মেধা কাজে লাগাতে পারবে, এমন শিক্ষকদেরই নিয়োগ করা উচিত বলে জানিয়েছেন হক্কানি। হক্কানি অগ্রাধিকার দিয়েছেন ধর্মীয় শিক্ষার ওপর। তাঁর সোজা কথা, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা মাস্টার বা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে, তাদের চেয়ে বেশি দামি ধর্মীয় শিক্ষালাভ করা, মাদ্রাসায় পড়া লোকজন।

শিক্ষার মানদন্ডের মাপকাঠিতে ২০০০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ২০ বছরকে সবচেয়ে সেরা, সমৃদ্ধ সময় ধরা হয় আফগানিস্তানে। কিন্তু হক্কানির কথায় পরিষ্কার, সেই পর্ব পুরোপুরি মুছে ফেলতে চাইছে তালিবান। তাহলে এখন কী হবে এই স্নাতকদের? তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল নিঃসন্দেহে।