Home First Lead আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক বাজারে নিম্নমুখী ক্রুড সয়াবিন তেলের দাম

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম কমছে গত কয়েক মাস ধরে। কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে। রিফাইনারি মালিকরা আরেক দফা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।

বিশ্ব ব্যাংকের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার বিষয়ক তথ্য অনুসারে দাম কমছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের। সেপ্টেম্বর শেষে টন বিক্রি হয়েছে ১৩৯৮ ডলারে। আগস্টে ছিল ১৪৩৪ ডলার। জুলাই মাসে ১৪৬৮ ডলার, জুনে ১৫১৮ ডলার এবং মে মাসে ১৫৭৪ ডলার দরে বিক্রি হয়েছে ডন। চলতি অক্টোবর মাসে গত মাসের চেয়ে আরও দাম কমেছে।

এভাবে ক্রমাগত দাম কমছে আন্তর্জাতিক বাজারে। কিন্তু দেশের বাজারে দর বাড়তি। রিফাইনারি মালিকরা বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে।

রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের মজুত পরিস্থিতি, আমদানি ও দাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেল পরিশোধনকারী মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব ছিল বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা করার। ট্যারিফ কমিশন একাধিকবার বসে অ্যানালাইসিস করে ১৬২ টাকা (বোতলজাত সায়াবিন তেল) করার সুপারিশ করেছে। এটা ছিল সেপ্টেম্বর মাসের অ্যাভারেজ রিপোর্ট। রবিবার  দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৬০ টাকা, যেটার আগে দাম ছিল ১৫৩ টাকা।

সভায় খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার তেলের দাম ৭৬০ টাকা, আর পাম অয়েল প্রতি লিটার ১১৯ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব এই প্রস্তাব অনুমোদন দিলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আনুষ্ঠানিকভাবে সয়াবিনের দাম জানাবে।

 তবে বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব এই প্রস্তাব অনুমোদন দিলে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী মিল মালিকরা তা জানিয়ে দেবে।

দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সরিষা, সূর্যমুখীসহ অন্যান্য তেলবীজ থেকে সোয়া দুই লাখ টন তেল পাওয়া যায়। বাকিটা আমদানি করতে হয়। মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে থেকে এসব তেল আমদানি হয়ে থাকে। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি করে বাজারজাত করছে কয়েকটি কোম্পানি।