Home চট্টগ্রাম ২৪ অক্টোবর দারুল উলুম মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মানববন্ধন

২৪ অক্টোবর দারুল উলুম মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মানববন্ধন

বক্তব্য রাখছেন খোরশেদ আলম সুজন


সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামায় জড়িতরা প্রকৃত মুসলমান নয়: সুজন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: নগরীর চন্দনপুরায় অবস্থিত দারুল উলুম কামিল মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা আগামী ২৪ অক্টোবর সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন।

মাদরাসার গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সিটি প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছেণ। সকালে দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এই ঘোষণা দেন। ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হয় আলোচনা সভার আগে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, শিক্ষক প্রতিনিধি মওলানা মাহবুবুর রহমান, ছাত্র প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মুফাসসির আনোয়ার হোসাইন, মুহাদ্দিস আহমদুর রহমান।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ শুধুই সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাতেই গাত্রদাহ হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীদের। তারা ছলে বলে কৌশলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগনকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবে এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে হবে আলেম ওলেমাদের। যারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে ধর্মীয় উসকানি সৃষ্টি করে তারা কোনভাবেই প্রকৃত মুসলমান হতে পারে না। মূলত এদের সাথে পবিত্র ইসলাম ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। পবিত্র কুরআন শরীফেও ইসলাম ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের নিরাপত্তা বিধানের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের অবদান অপরিসীম। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। আর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যারা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারাই দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকরা সেদিন বুঝে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার শিশু শেখ রাসেল জীবিত থাকলে একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে তাই তারা শিশু রাসেলকে হত্যা করতেও কার্পণ্য করেনি। যে বয়সে শেখ রাসেল খেলাধুলায় মত্ত থাকার কথা সে বয়সে তাঁকে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হতে হলো যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী যিনি বিদেশে অবস্থান করায় সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হয়েছে তা সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।