বিজনেসটুডে২৪ডেস্ক
পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে থাবা বসায়নি করোনা। সাধারণত এমন ধারণা আমাদের মনে থাকলেও বাস্তবটা একটু হলেও আলাদা। একটি দ্বীপরাষ্ট্র ছিল যেখানে কিছুদিন আগে অবধিও করোনার প্রভাব মুক্ত ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না! সেখানেও নিজের জাল বিস্তার করল করোনা। শুক্রবার, টোঙ্গা নামক ওই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রথম করোনা পজিটিভ রোগীর খোঁজ মিলেছে।
জানা গিয়েছে, টোঙ্গাতে আগত নিউজিল্যান্ডের এক পর্যটকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরেই সেখানের এক এই সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের টোঙ্গা নামের এই দ্বীপরাষ্ট্র এতদিন করোনার কবল থেকে মুক্ত ছিল। প্রতিবেশী দেশ গুলি থেকে ভৌগলিকভাবে টোঙ্গার বিচ্ছিন্নতার কারণেই এখানে করোনার প্রাদুর্ভাব কম ছিল। তবে এই দেশের অনুন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে এই দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এই দেশটি।
টোঙ্গার নিকটবর্তী ফিজি দেশটি চলতি বছরের এপ্রিল মাস অবধিও করোনা মুক্ত ছিল। কিন্তু ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিল এবং প্রায় ৬৭৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এক রেডিও বার্তায় টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রী পোহিভা তুই’ওনেতোয়া জানিয়েছেন, ওই পর্যটক বুধবার, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহর থেকে বিমানে আসা ২১৫ জন পর্যটকের মধ্যে একজন ছিলেন। তাঁকে একটি হোটেলে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল, তাসত্ত্বেও সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হয়নি বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টোঙ্গার এক খবরের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, পরবর্তীকালে সেদেশে লকডাউন জারি করা হতে পারে।
জানা গিয়েছে কয়েকমাস ধরেই চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত করোন মুক্ত ছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ। কিন্তু অকল্যান্ড শহরে নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। এমনকি সেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণও দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ব্যক্তি টোঙ্গাতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ফাইজ়ারের করোনা টিকা নিয়েছিলেন এবং টোঙ্গাতে যাওয়ার বিমানে ওঠার আগে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
টোঙ্গার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রধান আধিকারিক ডাঃ সিয়ালে আকাউওলা বলেছেন,ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। নিউজিল্যান্ডে গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর মেলার আগেই বিমানটি ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে রওনা হয়ে গিয়েছিল।