২০০৮ সালে সোমালিয়ার উপকুলবর্তী ভারত মহাসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর একের পর এক আক্রমণ চালাচ্ছিল জলদস্যুরা। এই সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে ৪৭ দিন আটক ছিলেন একজন জাহাজের ক্যাপ্টেন। তিনি তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন বিবিসির এ্যালেক্স লাস্টের কাছে।
দু’হাজার আট সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কথা । একটি পণ্যবাহী টাগবোট রাশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছিল – যার ক্যাপ্টেন ছিলেন ৭০ বছর বয়স্ক কলিন ডার্চ। তার সাথে ছিল পাঁচজন ক্রু -যার একজন আইরিশ এবং বাকি চার জন রুশ।
এডেন উপসাগর এলাকায় পৌঁছানোর পর তাদের জাহাজটির ওপর সোমালি জলদস্যুদের একটি দল আক্রমণ চালালো – যদিও এই জলদস্যুদের ভয়েই তারা সোমালিয়ার উপকুল থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরত্ব রেখে চলছিলেন।
ক্যাপ্টেন ডার্চ বলছিলেন, “সেদিন দিনের বেলা – আমাদের আশপাশে বেশ কিছু মাছধরা নৌকাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছিলাম । সাধারণত আমরা এগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেই না। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম একটি নৌকা দ্রুতগতিতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে – যা কোন সাধারণ ফিশিং বোট করবে না।”
“এটা ছিল একটা প্লাস্টিকের মাছধরা নৌকা – তাতে পাঁচজন কৃষ্ণাঙ্গ লোক, তাদের হাতে বন্দুক, মাথায় কাপড় বাঁধা। আমরা সাথে সাথে এ্যালার্ম বাজালাম, জাহাজ বিপদে পড়েছে এ কথা জানিয়ে বার্তা পাঠালাম – যাকে বলে মে ডে কল। কেউ জাহাজে ওঠার চেষ্টা করলে তাকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত হলাম।”
জলদস্যুদের আক্রমণ
ক্যাপ্টেন কলিনের টাগবোটটি ছিল মাত্র ১০০ ফুট লম্বা, এবং এটা দ্রুতগামী কোন জাহাজ ছিলনা । ফলে জলদস্যুদের নৌকার হাত থেকে পালানোর কোন উপায়ই ছিল না।
তবে এটা যেহেতু টাগ বোট ছিল এবং তা বিশাল বিশাল জাহাজ টেনে নেবার কাজে ব্যবহৃত হতো, ফলে এর অন্য নৌযানকে জোরে ধাক্কা মারার ক্ষমতা ছিল। ক্যাপ্টেন কলিন চেষ্টা করেছিলেন এ ক্ষমতা কাজে লাগানোর।
“জলদস্যুদের নৌকাটা কাছাকাছি আসতেই আমি জাহাজের মুখটা ঘুরিয়ে তাদের দিকে তেড়ে গেলাম। নৌকাটা ধাক্কা লাগার ভয়ে সরে গেল, কিন্তু তারপর এক পাক ঘুরে আবার আমাদের দিকে এলো। কয়েকবার এরকম হলো। আমাদে ওদের উদ্দেশ্যে জাহাজের ওপর তখন চরম উত্তেজিত অবস্থা। ক্রুরা আইরিশ ও রুশ ভাষায় চিৎকার ও গালাগালি করছিল।”
“দু-তিনবার এরকম হবার পর জলদস্যুতের দলটি গুলি ছুঁড়তে শুরু করলো। আমরা সবাই মাথা নিচু করে থাকলাম। কিন্তু কাচ ভাঙার কোন শব্দ শোনা গেল না। ফলে ধারণা করলাম, ওরা হয়তো আকাশে গুলি করছে – আমাদের ভয় দেখানোর জন্য। “
“কোত্থেকে যেন আরেকটা নৌকা এসে হাজির হলো। দেখে আমরা খুবই ভয় পেয়ে গেলাম। আমাদের জাহাজের দু’পাশে দুটো ন্যৌকা – একটিতে চারজন, অপরটিতে পাঁচজন বন্দুকধারী। “
“যেহেতু আমাদের জাহাজটা একটা টাগবোট, তাই এটা পানির উপরিভাগ থেকে বেশি উঁচু নয়। তাই খুব সহজেই ওরা লাফিয়ে আমাদের জাহাজে উঠে পড়লো। তখন আমি জাহাজটা থামালাম, এবং অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন ওরা নাবিকদের কক্ষে আসে।”
“আমরা একটু আগেই ওদের দিকে খুব আক্রমণাত্মক ভাবভঙ্গৗ করছিলাম, কিন্তু এখন আমরা একেবারেই শান্ত হয়ে গেলাম।”
জলদস্যু নেতা ‘ক্যাপ্টেন’ উমর
“প্রথম যে দুজন জলদস্যু জাহাজের নাবিকের ঘরে ঢুকলো তাদের একজন ছিল বেঁটে এবং মোটা একটা লোক। সে বেশ ভালো ইংরেজিতে বললো, তার নাম এ্যান্ড্রু এবং সে ইংরেজি জানে। অপরজনকে দেখিয়ে সে বললো – ইনি হচ্ছেন উমর – আমাদের ক্যাপ্টেন। “
“সে অনেকটা মুষ্টিযোদ্ধা সুগার রে রবিনসনের মত দেখতে -মাঝারি গড়নের মেদহীন চেহারা এবং সে কোন ইংরেজি বলছিল না। “
“এর মধ্যে অন্য জলদস্যুরা এসে হাজির হলো । তারা আমাদের রুশ ক্রুদের বললো, চুপচাপ ডেক-এ বসে থাকতে । তারপর তারা আমাদের আদেশ দিল সোমালিয়ার উপকুলের দিকে এগিয়ে যেতে। “
সাগরে জলদস্যুদের তৎপরতা বহুকাল ধরেই চলছে – কিন্তু সোমালিয়ার উপকুলে এই আধুনিক জলদস্যুদের উৎপাত শুরু হয় ২০০০ সালের পরে।
জলদস্যুরা বলে থাকে যে জাহাজ চলাচলের কারণে তাদের মাছধরা নৌকাগুলো লোকসান দিচ্ছে, এবং যুদ্ধ ও ক্ষুধায় দীর্ণ দেশটিতে অনেক দিন ধরে কোন সরকার নেই – এ অবস্থায় তাই উপায়ান্তর না দেখে তারা এ পথ বেছে নিয়েছে। এটা রীতিমত মুক্তিপণ আদায়ের শিল্পে পরিণত হয়।
আড়াই মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি
ক্যাপ্টেন কলিনের জাহাজটিকেও জলদস্যুরা প্রথমে সোমালিয়ার উপকুলে এল নামের একটি পরিত্যক্ত বন্দরে নিয়ে গেল ।
জায়গাটি তখন পরিচিতি পেয়েছে জলদস্যুদের হেডকোয়ার্টার হিসেবে। সেখানে পৌঁছার পর আরো কিছু জলদস্যু কলিনের জাহাজে উঠলো।
শুরু হলো কোপেনহেগেনে জাহাজের মালিকের সাথে মুক্তিপণ নিয়ে আলোচনা।
ক্যাপ্টেন কলিন বলছিলেন, “জলদস্যুরা দাবি করলো তাদের আড়াই মিলিয়ন বা ২৫ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিতে হবে। এ অর্থ দিতে হবে তিনদিনের মধ্যে। তা না হলে তারা জাহাজের ক্রুদের গুলি করে হত্যা করবে।”
“কয়েকদিন পর জাহাজের মালিক পক্ষ বললো, তারা আড়াই লাখ ডলার দেবে। জলদস্যুরা এতে ভয়ানক রকম ক্ষেপে গেল। বললো – এটা রীতিমত অপমান। তাদের অনেকে বললো, এই ক্রুদের এখনই গুলি করে মারা উচিত।
একটা চরম উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা তৈরি হলো। তবে পরের কয়েক দিনে অবস্থা শান্ত হলো।”
আমেরিকানদের দিয়ে জলদস্যুদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা
নিকটবর্তী একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে জলদস্যুদের হুঁশিযারি দিয়ে একটা বার্তা পাঠানো হলো। তবে তারা কোন হস্তক্ষেপ করলো না।
তখন কলিন আর ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেড মিলে একটা পরিকল্পনা করলেন, যাতে আমেরিকান যুদ্ধজাহাজের এই সৈন্যদের দিয়ে জলদস্যুদের ওপর আক্রমণ করানো যায়।
ঠিক হলো – তারা কোপেনহেগেনের মাধ্যমে আমেরিকান যুদ্ধজাহাজে বার্তা পাঠাবেন যে তারা জাহাজের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে খোলের মধ্যে লুকিয়ে থাকবেন, আর সেই সময় সৈন্যরা জলদস্যুদের আক্রমণ করবে। আলো নিভে যাওয়াটাই হবে আক্রমণের সংকেত।
সে অনুযায়ী একদিন রাতে কলিন ও ক্রুরা টাগবোটের আলো নিভিয়ে দিয়ে খোলের মধ্যে আশ্রয় নিলেন।
“জলদস্যুরা আমাদের দরজায় বার বার আঘাত করছিল। কিন্তু ১৮/১৯ ঘন্টা আমরা সেই অন্ধকার স্যাঁতসেতে খোলের মধ্যে বসে থাকলাম।”
জলদস্যু ঠেকাতে সোমালিয়ার উপকুলে পাহারা দিচ্ছে একজন নিরাপত্তারক্ষী
কিন্তু কিছুই হলো না। হয়তো তাদের বার্তা পৌঁছে নি। অথবা আমেরিকানরা আক্রমণ চালাতে আগ্রহী হয়নি।
ক্ষুধার্ত এবং কাকভেজা অবস্থায় কলিন ও তার দল আত্মসমর্পণ করলেন।
“আমাদের সাথে প্রথম কিছুটা খারাপ আচরণ করা হলো। তার পর জলদস্যুদের নেতা উমর এসে আমাকে ডেকের দিকে আঙুল দেখিয়ে বললো, “ক্যাপ্টেন কলিন, ক্যাপ্টেন কলিন, সিলিপ।”
আমি আর কি করবো, ঘুমিয়ে পড়লাম। এর পর থেকে আমাদের নাবিকের ঘরেই আটকে রাখা হতো। টয়লেটে যেতে হলেও অনুমতি নিতে হতো, একজন বন্দুকধারী জলদস্যু সাথে সাথে যেতো।”
চলতে থাকলো টাকা নিয়ে দরকষাকষি
জাহাজটি ছাড়িয়ে নেবার জন্য মুক্তিপণের আলোচনা চলতে লাগলো দিনের পর দিন এবং সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে।
“তারা প্রায়ই হুমকি দিতো যে আমাদের মধ্যে কোন একজনকে গুলি করে মারা হবে। যাতে জাহাজ মালিকদের চাপে ফেলে তাড়াতাড়ি ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। তবে জলদস্যুরা সবাই ফ্রেডকে পছন্দ করতো। কারণ সে ছিল খুব মজার লোক। তাকে তারা মাছ ধরার সময়ও সাথে নিয়ে যেতো। “
“আমার সাথে ফ্রেডের বোঝাপড়া ছিল খুব ভালো। কিন্তু চারজন রুশ ক্রু ছিল একেবারে অন্যরকম। আমি ভাবতাম যদি জলদস্যুরা কোন একজন হত্যা করতে চায়, তাহলে হয়তো তারা এই রুশদের একজনকে দিয়েই শুরু করবে। “
জলদস্যুদের মনে এক পর্যায়ে সন্দেহ দেখা দিল যে কলিন হয়তো কোপেনহেগেনে তার বসদের উল্টোপাল্টা কিছু বোঝাচ্ছেন। তাই তারা একজন নতুন অনুবাদক নিয়ে এলো।
“তারা একজন লম্বা শীর্ণ চেহারার লোককে নিয়ে এলো। সে বললো, তার নাম গ্যালি, এবং সে একজন ‘সম্মানিত স্কুল শিক্ষক’ – কিন্তু এরা জোর করে তাকে অনুবাদক হিসেবে এখানে নিয়ে এসেছে, যাতে এই ঝামেলাটা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা যায়। “
“আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তো আপনাকে এরা কত দিচ্ছে? সে বললো, পাঁচ হাজার ডলার। আমি বললাম, তাহলে তো আপনার সাথে জলদস্যুদের কোন তফাৎ রইল না। সে বললো, ‘না না না, আমি একজন সম্মানিত স্কুল শিক্ষক।’ সে ইংরেজিও বলতো অনেক ভালো।
অবশেষে রফা হলো ৬ লাখ ৭৮ হাজার ডলারে
“তো সেই স্কুল শিক্ষক কোপেনহেগেনকে বোঝালো – শীগগির জলদস্যুদের মুক্তি পণ দিয়ে দিতে – তা না হলে এরা জাহাজটাকে ডাঙায় নিয়ে ক্রুদের সবাইকে মেরে ফেলবে।”
তবে হুমকি সত্বেও ক্রুদের সাথে জলদস্যুদের সম্পর্ক ছিল ভালোই। তারা সারাদিন ধরে তাদের রাইফেল পরিষ্কার করতো, আর খাট নামে একটা নেশাজাতীয় পাতা চিবাতো।
“তাদের রান্না – আমরা রাশিয়ান ক্রুদের বানানো যে খাবার খেতাম – তার চেয়ে ভালো ছিল। আমরা উটের দুধ আর ছাগলের মাংস। জলদস্যুরা সবাই ছিল খাটে আসক্ত। তাদের জন্য নিয়মিত খাটের সরবরাহ আসতো। এটা খাওয়ার ফলে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা জেগে থাকতে পারতো। রাতে তারা একসাথে বসে গান করতো। “
শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একটা রফা হলো। বড় কোম্পানিগুলো অনেক সময়ই বীমা কোম্পানি থেকে এই টাকাটা ফেরত পেয়ে যায়।
“মালিক পক্ষ শেষ পর্যন্ত ৬ লাখ ৭৮ হাজার ডলার দেবার প্রস্তাব দিল। এর পর জলদস্যুরা একটা বৈঠকে বসলো – অনেক আলোচনার পর এ প্রস্তাব মেনে নিলো তারা। “
জলদস্যুদের হাতে তুলে দেয়া হলো মুক্তিপণের টাকা
মার্টিন নামে একজন ব্রিটিশ নিরাপত্তা ঠিকাদারের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হলো। তিনি কেনিয়া থেকে একটা নৌকায় করে জাহাজের কাছে এলেন, জলদস্যুদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে।
“ওই ব্রিটিশ লোকটি জাহাজ থেকে এক মাইল দূরে সাগরে থামলেন। তার নৌকাটির চারপাশে চক্কর দিতে থাকলো ভারী অস্ত্রে সজ্জিত জলদস্যুদের অনেকগুলো নৌকা । অর্থ গ্রহণ করতে আমাদের জাহাজ থেকে একটি নৌকা ছাড়লো। “
“মার্টিন আমাকে ফোন করে জানতে চাইলো – সে কার হাতে টাকাটা তুলে দেবে। আমি বললাম, আমি জানি না। তবে শেষ পর্যন্ত সঠিক লোকের হাতেই মুক্তিপণের টাকা তুলে দেয়া হলো। “
ছবির উৎস, AFPছবির ক্যাপশান,
আটক হওয়া সোমালি জলদস্যুদের একটি দল (ফাইল ছবি)
“একটা বাক্সে থরে থরে সাজানো ছিল সবুজ রঙের ডলার। তার ওপর আবার চকলেট, বিস্কুট দিয়ে ঢাকা। সাথে ছিল দুই বোতল জনি ওয়াকার হুইস্কি। হুইস্কির দায়িত্ব আমিই নিলাম।”
“জলদস্যুরা সারা দিন ধরে সেই অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করলো, কিছু তর্কাতর্কিও হলো তাদের মধ্যে। ছয়টা নাগাদ তারা অনেকেই জাহাজ ছেড়ে চলে গেল।”
জলদস্যুরা নিজেরাই ডাকাতের ভয়ে
“কিন্তু সেই স্কুলশিক্ষক অনুবাদক বললেন, তিনি এবং আরো ৬/৭জন এখানে নামবেন না – কারণ তাদের ডাকাতের হাতে পড়ার ভয় আছে। তারা বললো, তাদেরকে আরো ১০০ মাইল দূরে আরেকটি জায়গায় নামিয়ে দিতে হবে। “
কলিন এবং তার ক্রুরা তাই করলেন।
“আমরা রাতের বেলা জাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। আমি আমার লগে লিখলাম – জলদস্যুরা এখন জলদস্যুবিরোধী টহল দিচ্ছে। কারণ তারা নিজেরাই ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারে এই ভয়ে আছে। হুঁশিযারি হিসেবে তারা সামুদিক পাখী থেকে শুরু করে যা দেখছিল তা লক্ষ্য করেই গুলি ছুঁড়ছিল।”
“সকাল সাতটার দিকে আরেক জন এসে এই সাতজনকে নামিয়ে নিয়ে গেল। আমরা পূর্ব দিকে যাত্রা শুরু করলাম। এটাই ভাবতে ভাবতে যে সত্যি আমরা অক্ষত অবস্থায় এই বিপদ থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি।”
ক্যাপ্টেন কলিনরা ছিলেন ভাগ্যবান। সাগরের ওই এলাকাটিতে সোমালি জলদস্যুদের হাতে একেক বছর শত শত জাহাজ আক্রান্ত হয়েছে। বহু নাবিক জিম্মি হয়ে কয়েক বছর পর্যন্ত আটক থেকেছেন, কয়েকজন জলদস্যুদের হাতে নিহতও হয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত ওই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনী মোতায়েন করে এবং জাহাজগুলেতে সশস্ত্র রক্ষীর ব্যবস্থা করে এই জলদস্যুদের আক্রমণ কমানো সম্ভব হয়েছিল।
-বিবিসি বাংলা