বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
পিরোজপুর: কাউখালীর একটি মসজিদে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ১৫ জন তাবলীগ জামাতের মুসল্লিকে অচেতন করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার ভোরে ওই মুসল্লিদের কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বিধায় তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অসুস্থ মুসল্লিরা হলেন, নীলফামারি জেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোস্তকিম (১৮), নেত্রকোনা জেলার তেলিগাতি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মিজানুর রহমান (৫০), একই জেলার বড়ইখালি গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে হামিদ উদ্দিন (৫৫)।
নওগাঁ জেলার বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিনের ছেলে ইদুকুল ইসলাম, একই জেলার সাকড়াইল গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ইয়াসিন আলী (৫২), নওগা জেলার ভান্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), একই জেলার নাবিলা নোনাহারপুর গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মোস্তাকিম (৫৯) একই জেলার রসুলপুর গ্রামের বসির শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ (৭১), সুনামগঞ্জ জেলার মোহনপুর গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে শফিউল্লা (৬২), একই জেলার কালিপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে জাফর আলী (৬০), কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের এনায়েতুল্লার ছেলে সফিউল্লাহ (৭০) একই জেলার রাইটহাট গ্রামের ফেরদৌরে ছেলে আলী আকবর (৫৯), সুনাম গঞ্জ জেলার ধরনিয়া গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালী জেলার কাশীমপুর গ্রামের আরশতিমের ছেলে তাবারক উল্লাহ (৬৩), কক্সবাজার জেলার নয়াপাড়া গ্রামের হাসেমউল্লার ছেলে হারুনুর রশিদ।
এদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার আব্দুল হান্নান (৬০) এবং নোয়াখালী জেলার কাসিমপুর গ্রামের তাবারকউল্লাহকে (৬৩) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলিগে আসা কাউখালীতে তাবলিগ জামাতের এই ১৬ সদস্যের টিমটি ৪১ দিনের চিল্লার অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার গারতা মসজিদে চিল্লায় অংশ নেয়। তাবলিগ জামাতের সদস্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর গ্রামের মোজাহার হোসেন জানান, তারা রাতে নামাজ ও যাবতীয় কার্যক্রমে শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। পরে অজ্ঞান অবস্থায় ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জনকে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো জানান, সন্ধ্যার পর পরই একটি অচেনা লোক এসে আমাদের বাড়ি ঘর জিজ্ঞাসা করে এবং রাতের খাবার তারাতারি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলে চলে যায়।
মুসল্লির আরো জানান, একজন মুসল্লির পটেক থেকে কিছু টাকা ও একটি মোবাইল নিয়েছে। বাকিরা সুস্থ না হলে কিছু বলা যাবে না।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: বনি আমিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কোনো দুস্কৃতিকারি চুরির উদ্দেশ্যে না নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।