Home Third Lead মহারাষ্ট্রে এনকাউন্টারে ২৬ মাওবাদী নিহত

মহারাষ্ট্রে এনকাউন্টারে ২৬ মাওবাদী নিহত

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলির জঙ্গলে শনিবার পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে কমপক্ষে ২৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই (মাওবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিলিন্দ তেলতুম্বড়েও আছেন।

পুলিশ জানান, মিলিন্দ তেলতুম্বড়ের বিষয়টি এখন পর্যন্ত গুজব, অনুমান । রবিবার সকালে দেহগুলি শনাক্ত করা হবে। তখনই  এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব।

সূত্রের খবর, পুলিশ কয়েকদিন আগে আত্মসমর্পণ করা তেলতুম্বড়ের প্রাক্তন দেহরক্ষী রাকেশকে সঙ্গে নিয়েছে নিহতদের মধ্যে সত্যিই তিনি আছেন কিনা, শনাক্ত করতে। তেলতুম্বড়ে দলিত বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বড়ের ভাই। আনন্দ ভিমা- কোরেগাঁও হিংসা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনেকদিন আগেই।

ছবি সংগৃহীত

ঘটনাচক্রে গতকালই মাওবাদীদের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড, যাদবপুরের প্রাক্তন বাসিন্দা প্রশান্ত বসু ওরফে কিসানদা ও  তাঁর স্ত্রীর ঝাড়খন্ড পুলিশের হাতে ধরা পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। পরদিনই গডচিরোলির জঙ্গলে নকশাল দমন অভিযানে বড় সাফল্য পেল পুলিশ।

গডচিরোলির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা এনকাউন্টার। সকাল প্রায় ৬টা থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত চলে দুপক্ষের গুলির লড়াই। সংঘর্ষে চার পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিত্সার জন্য নাগপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গডচিরোলি পুলিশের ১০০ এলিট সি-৬০ কম্যান্ডো নকশালদের সঙ্গে এনকাউন্টারে সামিল হয়। আরেকটি সূত্রের দাবি, সি-৬০ কম্যান্ডোবাহিনীর ১৬টি দল ছিল। মোট ৫০০র বেশি পুলিশকর্মী অভিযানে ছিলেন। ছত্তিশগড় সীমান্তের কাছেই ওই জঙ্গলে তীব্র গুলির লড়াই হয়। জঙ্গলে মাওবাদীরা ক্যাম্প করেছে বলে আগাম খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালায় পুলিশ।

বলা হচ্ছে, আজকেরটি গাডচিরোলির ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম এনকাউন্টার। এর আগে ২০১৮র ২৩ এপ্রিল দুটি আলাদা এনকাউন্টারে ৪০ মাওবাদীকে  গুলি করে মেরেছিল গডচিরোলি পুলিশ।