বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: কক্সবাজার বেলাভূমির কাছে আবারও ডলফিনের দাপাদাপি পরিলক্ষিত হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার ভোরে কক্সবাজার সৈকতের কাছে সমুদ্রে দেখা গেছে একঝাঁক ডলফিন। ভোরের প্রথম সূর্যের আলোয় মজার এই প্রাণীটি দাপাদাপি করে সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সীমানায়।
স্থানীয়রা জানান, ভোরের কুয়াশা ছেদ করে সূর্য মাত্রই রশ্মি ঢেলেছে সাগরের নীল জলে। এ সময় সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে না তখনো। এই সময়টাতেই কক্সবাজারের সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সমুদ্রে দেখা মিলছে ডলফিন পালের।
কখনো দু’একটা করে, দল বেঁধে কখনো কখনো, সাগর জলে সাঁতার-ডোবা খেলায় মাতে ডলফিন।
শুক্রবার সকালে ডলফিনের ছোটাছুটির দৃশ্য ধারণ করেন সৈকতের জেটস্কি চালক সোনা মিয়া। তেরো মিনিট ধরে ডলফিনের সঙ্গে খেলায় মেতেছিলেন তিনি।
জানতে চাইলে সোনা মিয়া জানান, সাগরের সঙ্গে সব সময় যাদের সখ্য, লাইফগার্ড কর্মীরা বলছেন, শীত মৌসুমে মাছ চলে আসে সাগরের কিনারায়। তাই ডলফিনও মাছ শিকারে আসে সমুদ্র পাড়ের কাছাকাছি।
স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে, গত বছর লকডাউনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কিছু ডলফিন খেলা করতে দেখা যায়। এরপর কোথাও উধাও হয়ে যায়। পরে গত দুই দিনের বেশি সময় ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ডলফিনের বিচরণ চোখে পড়ে।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘কক্সবাজারের সোনাদিয়া ও মহেশখালী বঙ্গোপসাগর চ্যানেলে দুটি ডলফিন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। একেকটি পরিবারে ১০/১২টির বেশি ডলফিন থাকে। সাগরে মূলত তারা দল বেঁধে চলাফেরা করে।’
‘বর্তমানে চ্যানেলগুলোতে প্রতিনিয়ত তাদের দেখা মেলে। যেহেতু তারা নিরিবিলি পছন্দ করে, সেহেতু সাগরের জনমানবহীন নীরবতার সুযোগে সাগরের লাবণী পয়েন্টে চলে এসেছে হয়তো।’