বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল বিক্রিতে চাপ বেড়ে গেছে। এতে দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম যে পর্যায়ে নেমে এসেছে তা ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সবচেয়ে কম। করোনার নতুন ধরনের ঘোষণা আসার পর গত ২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি ১০ ডলার ২২ সেন্ট কমে ৬৮ ডলারে নেমে যায়। পরবর্তী দু’দিনে তা কিছুটা বেড়ে ফের ৭০ ডলারের ওপরে উঠে। মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেলে ২ ডলার ০৭ সেন্ট বা ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ কমে ৬৭ ডলার ৮৮ সেন্টে নেমেছে।
মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেল ৬৭ ডলার ০৭ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। এই দর আগের দিনের চেয়ে ২ ডলার ০৭ সেন্ট বা ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। ব্রেন্ট ক্রুড ২ ডলার ৩৭ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ৭১ ডলার ০৭ সেন্টে বিক্রি হয়েছে।
ওমিক্রন অনিশ্চয়তায় আগামীতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি কেমন হবে সে বিষয়ে ধারণা নেই খোদ ওপেক প্লাস জোটের দেশগুলোরও। এর আগে জোটভুক্ত দেশগুলো প্রতি মাসে চার লাখ ব্যারেল করে বাড়ানোর মাধ্যমে উত্তোলন মহামারীর আগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য হাতে নিয়েছিল। তবে এ লক্ষ্য কোনো মাসেই পূরণ হয়নি। জোটভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশকে এ সময় উত্তোলন বাড়াতে গিয়ে নানামুখী সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রাইস স্ট্রিটের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন জ্বালানির বাজারে কতটুকু হুমকির কারণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও বাজার বাজারের গতিতে চলছে। ব্যবসায়ীরা তাদের তেল বিক্রি জোরদার করেছে। আর এই বিক্রি চাপে বাজার নিম্নমুখী।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে সম্প্রতি দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়িয়ে দেয় সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত দাম কমানোর ঘোষণা আসেনি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে এর প্রতিফলন ঘটবে। ২০১৬ সালেও জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস করা হয়েছিল। জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও পাচার রোধে মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।