Home আন্তর্জাতিক ভারতে এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আধিপত্য

ভারতে এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আধিপত্য

ছবি সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনা মহামারী নতুন করে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে ভারতে। এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের বেশি এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে কি না, এ নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। যদিও দেশটির স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে এখনো করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আধিপত্য বিস্তার করে আছে। ডেল্টার সংক্রমণ রোধ করতে এখনো বেগ পেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এমন অবস্থায় ওমিক্রনের নতুন আধিপত্য দেশটির জনগণের কপালে নতুন ভাঁজের সৃষ্টি করেছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখন পর্যন্ত করোনার ওমিক্রন ধরনকে অতি সংক্রামক বলে ধারণা করছে। এ ভ্যারিয়েন্টটি যে দ্রুত ছড়াতে পারে অবশ্য তার প্রমাণও ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ভারতসহ ৫৯টি দেশে ছড়িয়েছে ওমিক্রন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে চার গুণ বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রন কতটা প্রাণঘাতী তা এখনো জানা যায়নি। কারণ এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে কেউ মারা গেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সবকিছুর বাইরে ওমিক্রন ভারতের অর্থনীতিতে নতুন করে আঘাত হানতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক ডা. পুনাম ক্ষেত্রপাল এনডিটিভিকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসা মানে এই নয় যে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তবে ওমিক্রনের জন্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এখনো মহামারী শেষ হয়নি। বিশে^ এই মুহূর্তে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের বিস্তারে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিচালক আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দাদের আরও সতর্ক হতে হবে। করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে আমাদের অবশ্যই নজরদারি, জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং দ্রুত টিকা প্রদানে আরও কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তার মতে, এখন থেকেই পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আগাম সতর্কতামূলক হিসেবে হাসপাতালগুলোয় বাড়াতে হবে বেডের সংখ্যা। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যয় নেমে আসে ভারতজুড়ে। এতে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। যদিও প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকার তথ্য লুকিয়েছে বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের। একাধিক বেসরকারি সংস্থা ভারতে করোনায় কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এর সঠিক পরিসংখ্যান বের করতে কাজ করছে।