Home রাজনীতি বাউফলে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

বাউফলে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

পটুয়াখালী: বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন্ । সোমবার বিকেল ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহতদের মধ্যে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসানকে বরিশাল ইসলামিয়া হাসপাতালে এবং যুবলীগ নেতা জসিম (৩৪), মিজান মোল্লা (৪০), সুমন (৩০) ও আশ্রাফকে (২৮) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফল পৌরসভার তফসিল ঘোষণার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা চলাকালে আওয়ামী দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের বাইরে অবস্থান নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আসম ফিরোজের সমর্থক এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের কর্মী সমর্থকেরা।

এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় জনতা ভবনসহ আশপাশের এলাকা।

কিছু সময় পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের পুত্র এবং বগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান হাওলাদার ভবনের ভেতর থেকে বের হলে সাংসদ আসম ফিরোজ সমর্থিত নেতা কর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন হাসান। ওই সংঘর্ষে আহত হন সাংসদ পক্ষের কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজান মোল্লাসহ উভয় পক্ষের অর্ধশত।

এটি একটি পরিকল্পিত হামলার ঘটনা উল্লেখ করে, এ ঘটনার জন্য উপজেলা আ. লীগের সভাপতি আসম ফিরোজকে দায়ী করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার।

তিনি বলেন, জরুরি সভায় আ. লীগ থেকে বহিষ্কৃত চন্দ্রদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বক্তব্য দিতে গেলে তাকে বাধা প্রদান করি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সভায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। যা কিছু সময় পর সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আসম ফিরোজ বলেন, ঘটনাটি দলীয় কার্যালয়ের বাইরে ঘটেছে। মোতালেব সাহেব সভায় উপস্থিত থেকেও রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। এটি তার একটি পরিকল্পিত হামলা। এ জন্য মোতালেব হাওলাদার দায়ী।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল-মামুন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।