বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রার পারদ নেমে গেছে। সোমবার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেকেই খড় কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শ্রীমঙ্গলের সর্বত্র কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভোর থেকে গোটা এলাকা ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা।রাস্তায় যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
গত কয়েকদিন ধরে দেখা গেছে যে বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। শীত ও কনকনে হিমেল ঠান্ডা হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমুল ও শ্রমজীবী মানুষ।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, মৌলভীবাজার জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গিয়ে আজ সোমবার সকাল ৯ ঘটিকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগেরদিন রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতজনিত রোগে প্রতিদিন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন চৌধুরী মোর্শেদ বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে চাপ একটু কম আছে। আমাদের এখানে যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের শীতজনিত রোগে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই থেকে তিনদিন চিকিৎসা নিয়েই অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩৪ হাজার কম্বল ও নগদ ৩ লাখ টাকা শীতার্ত মানুষের মধ্যে সাতটি উপজেলায় বিতরণ করা হচ্ছে। আরও কম্বল ও নগদ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।