- পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধি নিষেধ আসছে
আমিরুল মোমেনিন
ঢাকা: দৈনিক করোনা আক্রান্তের গ্রাফ বেড়ে চলেছে। একদিনে কোভিড পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ৬৭৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ হাজার ৮১ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৪ জন।
সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ১৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সোমবার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দেশে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি, মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ কারণে, আমরা সারা দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা জোরদারের জন্য কাজ করছি।
গত বছরের জুন-জুলাইয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ের পৌঁছালে চাহিদার তুলনায় অক্সিজেনের সরবরাহ কম ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে ৪০টি হাসপাতালে অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এই ৪০টি ছাড়াও বিভিন্ন উৎস থেকে আরও কিছু অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি বলেও জানান স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক।
সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের চলাফেরার ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
মাস্ক ছাড়া কেউ গণপরিবহনে উঠতে পারবে না। শুধুমাত্র করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা অফিস-আদালত, রেস্টুরেন্ট, শপিং মলে প্রবেশ করতে পারবে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে লোক সমাগম সীমিত করা হবে। গণপরিবহনেও আসন সংখ্যা সীমিত করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, যত অনুষ্ঠান আছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে যাতে সংখ্যা যেন সীমিত করা হয় সে বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে নীতিগতভাবে পজেটিভ আলোচনা হয়েছে যে এটা করা হবে। পরিবহন সেক্টরে বলা হয়েছে যে, তাদের যে সিট ক্যাপাসিটি আছে সেই ক্যাপাসিটি কমিয়ে যেন চালানো হয়। এই বিষয়ে একটা আলোচনা হয়েছে। আশা করি, এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত পাবো।
দোকানপাটে গেলে, বাসে-ট্রেনে উঠলে, মসজিদে গেলে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে। আরেকটি তাগিদ দেয়া হয়েছে টিকা যেন গ্রহণ করে। টিকা যারা গ্রহণ করেছে তারা রেস্টুরেন্টে খেতে পারবে, অফিসে যেতে পারবে, বিভিন্ন কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে করতে পারবে মাস্ক পরা অবস্থায়। কিন্তু টিকা যদি না নিয়ে থাকে তারা কিন্তু রেস্টুরেন্টে যেতে পারবে না। যদি এমন কাউকে পাওয়া যায় তবে ওই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করা হবে। এ জন্য পনেরদিন সময় দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।