বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: এখানে একইস্থানে বিএনপি ও ছাত্রলীগ সমাবেশ ডাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় সমাবেশে যোগদানের পথে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশের বাধার মুখে আটকে পড়েছেন।
প্রশাসন পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার শহরের ফুলবাড়িয়ায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগও। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।
একই সঙ্গে চারজনের অধিক ব্যক্তির জমায়েত, রাজনৈতিক প্রচারমূলক কর্মকাণ্ড, মাইক বা প্রচারযন্ত্রের ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সমাবেশ ডাকে জেলা বিএনপি। একই সময় ছাত্রলীগও একই স্থানে ছাত্র সমাবেশ ডাকে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে বিএনপি আহূত সমাবেশ।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের নেতারা উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু একই স্থানে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের সমাবেশ আহ্বান করা হয়। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়ি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের টোলপ্লাজায় আটকে দেয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। তিনি বিএনপির সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন গণমাধ্যমকে জানান, রুমিন ফারহানার সঙ্গে আমরা কথা বলছি। তার গাড়ি আটক করা হয়নি।
বিএনপি’র সমাবেশে যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ামুখী কেন্দ্রীয় অন্য নেতারা ভৈরবে আটকে পড়েছেন্। তারা ভৈরবে জান্নাত হোটেলে অবস্থান করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাইরে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করার চেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে কোথাও দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে পারছেন না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকটি পয়েন্টে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কেউ যদি ১৪৪ ধারা ভঙ্গসহ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।