খুলনায় ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার
চন্দন ভট্টাচার্য্য, খুলনা: ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার ৮ জানুয়ারী (শনিবার) খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মোঃ মাহবুব আলম সোহাগ ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আঞ্চলিক তথ্য অফিসের তথ্য অফিসার মোঃ মঈনউদ্দীন। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান মুফতি।
সেমিনারে খুলনার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, জাতীয় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খুলনা ব্যুরো প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি বিএল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ট্রেজারার অধ্যাপক সাধন রঞ্জন ঘোষ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাধন রঞ্জন ঘোষ বলেন, গণমাধ্যম অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে অধিক স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধারণ করতে হয়। স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা কোন আদর্শিক সাংবাদিকতা হতে পারে না। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হলে গণমাধ্যমকে নিরাপদ দৃষ্টিভঙ্গি লালন করতে হবে। নিজস্ব ধ্যানধারণার বাইরে এসে ভালো কাজের প্রশংসা এবং খারাপ কাজের সমালোচনা করতে পারলে গণমাধ্যম সত্যিকার অর্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হয়ে উঠতে পারবে।
মুক্ত আলোচনায় যোগ দিয়ে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে একযোগে কাজ করতে হবে। অনেক সময় সঠিক তথ্যের অভাবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সুতরাং সকল সরকারি অফিস থেকে সাংবাদকর্মীরা যেন সহজে তথ্য পেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে সাংবাদিকদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক তথ্য তুলে ধরার কারণে যেন রোষানলে পড়তে না হয় এবং চাকরির ওপর কোন আঘাত না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।