নতুন শনাক্ত ৯২ জন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ১ শনাক্তের হার ৫৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ
মোঃ আব্দুস সাত্তার,দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুরে করোনায় সংক্রমণ বেড়েই চলছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ ।
২৫ জানুয়ারী দিনাজপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৭২ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯২ জনের করোনা শানাক্ত হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন একজন। সক্রিয় রোগী ৪৭৪ জন। শানাক্তের হার ৫৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ও শনাক্তের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় দেশের ১২ টি জেলাকে রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে, তারমধ্যে দিনাজপুর অন্যতম। রেড জোন ঘোষণা হলেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত মাস্ক পরছেন না অধিকাংশ মানুষ। গ্রাম অঞ্চলের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সচেতনতা একেবারে নেই বললেই চলে। টিকা নেওয়ার সময় ও মাস্ক পরেন না।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, জেলায় শনাক্তের অধিকাংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত ফলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে, যদিও ওমিক্রন এর মৃত্যু ঝুঁকি কম। দিনাজপুর জেলা ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায় সংক্রমণ বেশি বলে মনে করছেন তারা।
স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনের কথা মাইকিং করে প্রচার করছেন প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও অধিকাংশ মানুষ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধির ব্যবহার । গ্রাম অঞ্চলের চিত্র আরো ভয়াবহ যদিও তাদের কাছে রয়েছে নানা যুক্তি করোনার উপসর্গ দেখা দিলে করছে না পরীক্ষা। তবে টিকা নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে তাদের।
দিনাজপুর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন শীতকালে জ্বর সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। একই উপসর্গ করোনাভাইরাসেরও। কিন্তুু এসব রোগে আক্রান্ত হলে ও কেউ পরীক্ষা করছেন না ফলে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু তারা টিকা নেওয়ার সময় ও মাস্ক পরেন না। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৮ জানুয়ারি থেকে জেলায় নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা করেছিল জেলা করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক শরিফুল ইসলাম বলেন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা আইন প্রয়োগ করেছি। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে । এছাড়াও জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।