মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন, হিলি থেকে: রিসান (১৫)। রানীগঞ্জ হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। গরিব ঘরের তাই সে স্থানীয় পশুরহাটে খাবার হোটেলে কাজ করতো। শনিবার দুপুরে সেই হোটেল থেকে তার এক পায়ের রগ ও গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
রানীগঞ্জ বাজারের গোহাটির পেছনে ঐ হোটেল। পাঁচবিবি উপজেলার এক ব্যবসায়ী জায়গা ভাড়া নিয়ে সেখানে টিনের চালাযুক্ত এই হোটেলটি করেন সাপ্তাহিক হাটের দিনে।
রিসানের মা অমিসা বেগম জানান, “তার ছেলে পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে রানীগঞ্জ গোহাটির একটি হোটেলে কাজ করত। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত ১০টায় তিনি বিছানায় শুয়ে পড়েন। শোবার আগে ছেলে রিসানকে ফোন করে বাড়ি আসতে বললেজানায় যে ‘সে বাজারে আছে এবং কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে ফিরবেন।’ এরপর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার ছেলে রিসান বাড়িতে ফেরেনি।”
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে বন্ধ থাকা সেই হোটেলের ভিতর রক্তাক্ত এক শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা থানা পুলিশকে খবর দেন। নিহত রিসান ওই হোটেলেই হাটের দিন হোটেল শ্রমিক হিসেবে কাজ করত এবং হাটে আসা লোকজনকে হোটেলে খাবার খেতে ডাকাডাকি করত।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকারীকে শনাক্ত করার জন্য অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রিসান উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের লিটন মন্ডলের ছেলে।