বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫৪৭ জন। আর দুর্ঘটনার প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল গাড়িচাপা দেয়ার ঘটনা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে আজ ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার সংগঠনটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে ৫৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৭ জন নিহত, ১১৪১ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত, ১০ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ৫৮ জন আহত এবং ৩০ জন নিখোঁজ হয়েছে।
১৭.৭৯ শতাংশ বাস, ২৫.৩৬ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৫.৯৭ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৯.১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২০.৩১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৯.১৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ১২.২১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
দুর্ঘটনার ৫৯.১৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৮.০৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭.৭০ শতাংশ খাদে পড়ে, ৩.৩৮ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০.৭৫ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে এবং ০.৯৪ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারী মাসে সড়ক দুর্ঘটনার ৩.৯১ শতাংশ, ২.০৫ শতাংশ নিহতের হার বৃদ্ধি পেলেও আহত ৭.০১ শতাংশ কমেছে।
পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারী মাসে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ৩.৯৭ শতাংশ, বেপরোয়া গতির কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ১৭.০৭ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ৮.০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী উল্লেখ করেন: ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়নের ফলে যানবাহনের গতি বাড়ার কারণে জাতীয় মহাসড়কে ১.৬০ শতাংশ, ফিডার রোডে ১.৯১ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও আঞ্চলিক মহাসড়কে ১.৪৪ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে।
এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৬ জানুয়ারী এইদিনে ৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ৭৩ জন আহত হয়। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ২৬ জানুয়ারী এইদিনে ০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ০৯ জন নিহত ০৮ জন আহত হয়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ সমূহ:
১। বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালনা। ২। বিপদজনক অভারটেকিং। ৩। রাস্তা-ঘাটের ক্রটি। ৪। ফিটনেস বিহীন যানবাহন। ৫। যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা। ৬। চালকের অদক্ষতা। ৭। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার। ৮। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো। ৯। রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা। ১০। রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা । ১১। ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ। ১২। ছোট যানবাহন বৃদ্ধি।