Home সারাদেশ হিলি স্থলবন্দর এলাকায় সড়কপথের দৈন্যদশা

হিলি স্থলবন্দর এলাকায় সড়কপথের দৈন্যদশা

খানাখন্দকে ভরা হিলির একটি সড়ক

টেন্ডার হয়ে গেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে: পৌর মেয়র 

মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন,  হিলি ( দিনাজপুর ) থেকে: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের সড়কগুলো চলাচলের অনুপোযোগী  হয়ে পড়েছে। সড়কে ছোটবড় অসংখ্য গর্ত।  পদে পদে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সড়কের কার্পেটিং উঠিয়ে করা হয়েছে  ইটঢালা সড়ক। যেখানে  সেখানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এতে চরম দুর্ভোগে রোগী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও পথচারীসহ সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইট বিছানো হেরিং বোন বন্ড  সড়কগুলোর বেহাল দশা। হিলি চেকপোস্টের প্রবেশ পথ  থেকে পানামা  বন্দর গেট পর্যন্ত, চারমাথা থেকে দক্ষিণে মহিলা কলেজ ও সিপি থেকে উত্তরে বিরামপুর  যাওয়ার সড়কটি হেরিং বোন বন্ডের।

প্রতিদিন দুই শতাধিক  ভারতীয় পণ্যবাহী ভারি যানবাহন এবং  ৫৫০ থেকে ৬০০ দেশি গাড়ি এই এই বন্দরে প্রবেশ করে। এছাড়া দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং ঢাকাগামী সকল  বাস-কোচ এই  পথ দিয়ে চলাচল করে।  অল্প বৃষ্টির পানিতে যেমন দুর্ভোগ  পোহাতে হয়, তেমনি শুকনা মৌসুমেও ধূলা-বালিতে রাস্তায় লোকজনের চলাচল বিড়ম্বনার কারণ হয়ে পড়ে।

প্রায় ৭ বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল সড়কগুলো। তারপর আ হয়নি।  সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, হিলি নাগরিক কমিটির সচিব  লিয়াকত আলী বলেন, হিলি একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করে। সরকার তা থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। আমরা চাই অবিলম্বে এই রাস্তাগুলোর সংস্কার হোক।

স্থানীয় বাসিন্দা  মিশর উদ্দিন  সুজন জানান, বার বার জনপ্রতিনিধিদের কাছে থেকে আমরা কেবল প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু কাজ আর হয়নি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয় না।

শতশত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয় এই হিলি স্থলবন্দর  হতে।  কিন্তু সড়কপথের সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। ভ্যানচালক মালেক বলেন, আমি ভ্যান চালাই।  সারাদিন হিলি শহরে যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। রাস্তা খারাপ, যাত্রীদের অনেক কষ্ট হয়, কষ্ট হয় আমারও।
হিলি রাজধানী মোড়ের কয়েকজন দোকানদার বলেন, শহরের সড়কপথের দৈন্যদশা। হাসপাতালে রোগী নিয়ে চলাচলের এ রাস্তা আরও  দুর্বিষহ। আমরা শুধু সুন্দর একটা সড়কের স্বপ্ন দেখেই আসছি। জানি না কবে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
হিলি পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, হিলি স্থলবন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো একেবারেই অকেজো হয়ে পড়েছে।  সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলেছে, হিলির সড়কের কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, টেন্ডার হয়ে গেছে। এছাড়া রাস্তার পাশে জমির অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।  আমরা জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনসুর আজিজ বলেন, একটি টিম গঠন করে হিলি পরিদর্শন করেছি। এখানকার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সবার সাথে কথা বলেছি। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই সড়কের কাজ শুরু করবো।