Home সারাদেশ নদীতে ভেসে যায় পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাটের ময়লা 

নদীতে ভেসে যায় পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাটের ময়লা 

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী থেকে: শহরের একটি জনবহুল স্থান পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট। প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায় তিনটি লঞ্চ। তার কারনে সকাল থেকে সন্ধ্যা বহু মানুষের ভিড় জমে এখানে। মানুষের সাথে সাথে জমা হয় নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা।
টার্মিনালে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় বিস্কুট-চিপস-চানাচুরের প্যাকেট, কলার ছোবলা, সিগারেটের প্যাকেট, পানির বোতল সহ নানা ধরনের ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকে পুরো লঞ্চ টার্মিনাল। সারাদিনের শেষে রাতে এসব ময়লা আবর্জনা চলে যায় নদীর পানিতে।
সারেজমিনে দেখা যায়, রাতে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী টার্মিনালের সব ময়লা কুড়িয়ে সরাসরি ফেলে দিচ্ছে নদীতে। নির্দিষ্ট কোন পোশাক না থাকায় দূর থেকে দেখে বোঝা সম্ভব হয়নি তিনি পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মী নাকি নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের।
তাই সেই পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাছে গিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তার পরিচয় না দিয়ে বলেন, কাজের সময় কথা বলা যাবে না। পরবর্তীতে তাকে আবার প্রশ্ন করা হয় এভাবে কেনো ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলছেন? উত্তরে তিনি বলেন এত কথা বলা যাবে না।
পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন,আমাদের একজন মাত্র পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে, আর তিনি মহিলা। আমাদের কোন পুরুষ পরিচ্ছন্ন কর্মী নেই। আমাদের টার্মিনালের ময়লা নদীতে ফেলা হয় না। এই পরিচ্ছন্ন কর্মী পটুয়াখালী পৌরসভার।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিমউদ্দীন আরজু বলেন,  পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নির্দিষ্ট পোষাক রয়েছে এবং তাদের সাথে ময়লার গাড়ী থাকে। এই পরিচ্ছন্ন কর্মী পৌরসভার নয়। এছাড়া টার্মিনালের ভেতরে পৌরসভার কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করেনা। গত দু বছর আমরা একটি নিরবিচ্ছিন্ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের নিজেদের অর্থায়নে একটি ট্রান্সফার স্টেশন তৈরী করেছি। স্টেশনটি পটুয়াখালী চক্ষু হাসপাতালের পেছনে তৈরী করা হয়েছে। এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা স্তুপ করে রাখতে হতো যা এখন নির্দিষ্ট একটি স্থানে ফেলা যাবে। পটুয়াখালী শহরে মোট পাঁচটি ট্রান্সফার স্টেশন তৈরী করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে, অতিদ্রুত এগুলো তৈরী হয়ে যাবে। এগুলো তৈরী হয়ে গেলে শহরের ময়লা আবর্জনা আর নদী, খাল-বিলে ফেলা হবে না, আর আমাদের পরিবেশেরও কোন ক্ষতি হবেনা। আগামী ২ বছরের মধ্যে পটুয়াখালী শহর পরিচ্ছন্ন একটি শহরে রুপান্তরিত হবে।