বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম: এবার ১৬ চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন এক কৃষক। তা করা হয়েছে রৌমারী থানায়। চোরাই পণ্য পাচারের সময় ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এই অভিযোগ।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাছের বিল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে, জনৈক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগটি করেছেন। সেটা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছেেএবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কৃষক আশরাফুল ইসলাম ফসলী জমির ক্ষতির জন্য ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন অভিযোগে। এদেরকে চোরাকারবারি বলে দাবি করেন তিনি। অভিযোগ করেন যে গত (১ফেব্রুয়ারি) রাত ১ টার দিকে ভারত থেকে গরু এবং ইয়াবা পাচারকালে তার দুই একরসহ আরও কয়েকজন কৃষকের প্রায় তিন একর ভুট্টাক্ষেত ধ্বংস করে চোরাকারবারীরা। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই অত্র এলাকার কুখ্যাত চোরাকারবারি ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে তাদের নামে রৌমারী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অপর এক কৃষক জাইদুল ইসলাম বলেন, আমি ভুট্টা চাষ করছি। গাছও বড়-বড় হইছে। চোরাকারবারিরা আরকি দিয়া গরু-মাদক নিয়া আইসে। আমার ভুট্টা খেত নষ্ট করি ফেলাইছে।এভাবে আবাদ ক্ষতি হইলে তো আবাদ হবে না।
কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, আবাদ করিচ্ছি কিন্তু গরু পাচারকারীদের জন্য আবাদ করবার পাবাইছিনা। হামরা কৃষক অতিষ্ট হয়া গেছি। ভুট্টা, সরিষাসহ মেলা জমির ফসল নষ্ট হয়া যায় রাতে পাচারের সময়। এলাকার প্রায় ৮/১০জন কৃষকের তিন একর ফসলি জমি নষ্ট হয়া গেছে।
এলাকার কৃষক আব্দুল মমিনের ৬২ শতক, মুকুল মিয়ার ১২৪ শতক, রাশেদুল ইসলামের ৬২ শতক, সাইফুল ইসলামের ৪৫ শতক ভুট্টা খেত নষ্ট হয়েছে।
অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিঘা প্রতি আমি ৩০হাজার টাকা খরচ করে ভুট্টা চাষ করেছি দু’একর জমিতে। বিঘা প্রতি এর ফলন হতো প্রায় আড়াই শ মণ। যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা। চোরাকারবারিরা গরু-মাদক পাচারকালে আমার সেই দু’একর ভুট্টা খেত নষ্ট করে ফেলেছে। তাদের জন্য সীমান্তের ফসলী জমিতে আমরা ঠিকভাবে আবাদ করতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।