বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমুদ্রপথে বাণিজ্যের ভবিষ্যত চাহিদা মেটাতে চট্রগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধান সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হলে, তা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
রবিবার বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ এর ১ম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী এবং পরিচালকবৃন্দ আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, এ.এম. শফিউল করিম খোকন), মোঃ হাসান (জ্যাকি) এবং এম এহসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে, তাই, সঙ্গতভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমানও বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, “এটা সত্যি উৎসাহব্যঞ্জক যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে এবং আমরা আশা করছি যে আগামী দিনগুলোতে ব্যবসা আরও বাড়বে। কারণ, শিল্পে কমপ্লায়েন্স এর প্রতিপালন, পণ্যের গুনগত মান এবং বাংলাদেশের সক্ষমতার কারণে পোশাক শিল্প বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য সময়মতো পণ্যের জাহাজীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ কারনে বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।
বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রম দ্রততর করা ও নির্বিঘ্ন রাখাও গুরুত্বপূর্ন। বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ চট্রগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গৃহীত সকল পদক্ষেপের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারা চ বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বজায় রাখতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি