উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে: নড়াইল থেকে হারিয়ে গেছে কাঁসা ও পিতল শিল্প। অ্যালুমিনিয়াম আর মেলামাইন পণ্যের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে কাঁসা ও পিতল এর ব্যাবহার।
কর্মকারের নিপুণ হাতে তৈরি কাঁসা ও পিতলের থালা, বাটি, কলসি, কাজলদানি, পুতুল ও মেডেলসহ নানান সামগ্রীর চাহিদাও ছিল ব্যাপক। তবে সে সময় আর নেই। কাঁসা-পিতলের জায়গা দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, মেলামাইন ও প্লাস্টিক পণ্য।
কাঁসা ও পিতল শিল্পের সাথে জড়িতরা বাধ্য হয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে। দেশীয় কৃষ্টি ও প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষায় নড়াইলে কাঁসা ও পিতল ব্যাবহারকে জরুরি বলে মনে করেন অনেক প্রবীন ব্যাক্তিরা।
জেলায় কয়েক বছর আগেও মনোহারির দোকানগুলোতে পিতলের জিনিস কিনতে পাওয়া যেত। বিয়ের অনুষ্ঠান, অন্ন প্রাসন, পুরস্কার বিতরণীসহ সকল ক্ষেত্রে এর ব্যবহার চোখে পড়ার মত ছিলো। এখনো কোন কোন পরিবার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য কাঁসা পিতলের থালা গ্লাস ব্যবহার করে। অতি মুল্যবান ধাতু হওয়ার সুবাদে দাম বেশি হলেও স্বাস্থ্য সম্মত। সকল ক্ষেত্রে গ্রহণ যোগ্যতা টাকার মূল্যের সমান ছিলো। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান বলতে তো কাঁসা পিতল ছাড়া কল্পনা করা যেত না। গ্রাম ও শহরের কিছু কিছু পরিবারে অবশ্য এখনো প্রচলন রয়েছে।