বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:মালয়েশিয়ায় পুলিশের হাতে আটক বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, খায়রুজ্জামানকে ডিপোটেশন সেন্টারে কারা অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমি যত দূর বুঝি, আবারও তাকে সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করার এবং মামলাটিকে খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। সেটা আইন মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাকে দেখে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
বুধবার সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুলিশ খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদিন বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে তার দেশের একটি অনুরোধ রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি আইন ভাঙার কথা জানিয়েছে। এটা দূতাবাস জানে আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। হয়তো ওভার স্টে, যে প্রক্রিয়ায় তিনি ছিলেন হয়তো সেটা এক্সপায়ার করে গেছে। কোনো আইন তিনি ভেঙেছেন, সেটার আওতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক যুগের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করে আসা খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে পরে তাকে এ সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়। কিন্তু ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড নিয়ে তিনি মালয়েশিয়ায় থেকে যান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অব্যাহতভাবে খুঁজি। সব সময় বলা হয় না, বলার প্রয়োজনও নেই। যদি না সেটা সফল হয়। আমরা জানতাম তিনি মালয়েশিয়ায় আছেন। মালয়েশিয়া থেকে বের হতে পারেননি বা এ রকম কিছু। এ ধরনের অপরাধী বা কথিত শব্দটি যদি ব্যবহার করি, পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ যে রকম আশ্রয় দেয়। খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে অনেক জায়গায় দেখেছেন। এ রকম সুযোগ মালয়েশিয়ায় নেই। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় মিলে সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটির কোন পার্যায়ে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অথবা মামলাটি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মিয়ানমার, মিসর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেন খায়রুজ্জামান।