সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ
শাকিল মন্ডল, রাঙামাটি হতে : পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন, অপহরণ, গুমসহ অপরাধ কর্মকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত সব সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতারা।
একইসঙ্গে সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা উপজেলায় জেএসএস (সন্তু) দলের সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির দাবিতে রাঙামাটিতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙামাটি পৌর প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। সেটা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বনরূপায় যায়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়ায় এই সময় ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি, বাঙালি কোন নাগরিক শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাধা দেয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেনা কর্মকর্তাদেরও প্রাণ হারাতে হচ্ছে। একটি স্বাধীন, সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা মানেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা, তাই অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান মুজিব।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবির, রাঙামাটি জেলা সহ সভাপতি আমির হোসেন সাবের, কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর মোল্লা, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম, প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু, রাঙামাটি জেলা সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা মল্লিক, রাঙামাটি জেলা মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক লাভলী আকতার। উপস্থাপনা করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান।