বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম ছ’মাসে ( জানুযারি-ডিসেম্বর ) পণ্য আমদানি হয়েছে ৩,৮৯৭ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই ৬মাসে পণ্য আমদানিতে এতো বেশি অর্থ ব্যয় হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমদানির পালে হাওযা লেগেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএসস) গবেষক ও রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত বলেন, আমদানি বাড়া মানে বিনিয়োগ বাড়া। বিনিয়োগ বাড়া মানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হওয়া। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকে করোনার প্রকোপ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালু হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে আমদানি। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেলসহ বড় বড় প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। এ সব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে আমদানি যেভাবে বেড়েছে সেভাবে রেমিটেন্স এবং রপ্তানি থেকে আয় বৃদ্ধি পায়নি। তাই বেড়ে গেছে বাণিজ্য ঘাটতি। পরিমাণ ১,৫৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ১২৭ শতাংশ বেশি। এ সময়ে ইপিজেড-পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ৩৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে ২৭.২৫ শতাংশ বেশি। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পণ্য বাণিজ্যে এক হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।