Home সারাদেশ বিদ্যুৎ বিল: মাসে ৪১৬ টাকা থেকে একলাফে ৫০ হাজারে

বিদ্যুৎ বিল: মাসে ৪১৬ টাকা থেকে একলাফে ৫০ হাজারে

৫০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল পেয়ে মুর্ছা যাওয়ার উপক্রম এই ব্যক্তি
মেহেরপুর থেকে জাহিদ মাহমুদ: মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকার গ্রাহক নুর মোহাম্মদ-এর  এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫০ হাজার ২৪২ টাকা। এই বিরাট অংকের বিদ্যুৎ বিল পেয়ে তিনি হতবাক। বেকায়দায়ও।
গাংনী পৌর সভার হাসপাতাল বাজার এলাকার মিটার নং ১৩৪/৮২৪০ এর মালিক নুর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, ২০১৩ সালে মিটারটি তিনি আবাসিক হিসেবে নিলেও পরবর্তিতে সেটি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সংযোগ হিসেবে রুপান্তরিত করে নেন। সে ভাবেই প্রতি মাসে বিল দিয়ে আসছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের জন্য হঠাৎ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বিল প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ। অথচ, সংযোগটির ডিসেম্বর/২১ মাসের বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩৬০ টাকা ও জানুয়ারী/২০২২ বিদ্যুৎ বিল ছিল ৪১৬ টাকা।
মিটারটির ব্যবহারকারী রানা বেডিং এর মালিক সোহেল রানা জানান, আমার প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল আসে ৩ শ থেকে সাড়ে ৪ শ টাকার মধ্যে। হঠাৎ ৫০ হাজার ২৪২ টাকা দেখার পরে আজ (শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারী)আমি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর গাংনী জোনাল অফিসের ডিজেএমের সাথে দেখা করি।
তিনি বলেছেন, সংযোগের মুল মালিককে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি আরও বলেছেন আমি এই সংযোগটি ব্যবহার শুরু করলে প্রথম মাসে মিটার রিডাররা আবাসিক বিল হিসেবে লিখলেও পরের মে মাস থেকে তারা নিজেরাই বাণিজ্যিক মিটার হিসেবে বিল লিখে যেতো।
তবে, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের গাংনী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবুল কাশেম বলেছেন, গ্রাহকের সংযোগটি ২০১৩ সালে নেওয়া। এই সংযোগটি আবাসিক সংযোগ ছিলো। পরে সংযোগটি বাণিজ্যিক হওয়ায় ঢাকার অডিট আপত্তি-৭ জরিমানা/ ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৯ হাজার ১৭৬ টাকা এবং বাণিজ্যিক বিল হিসেবে প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা ৩০ পয়সা দাম ধরে ৫০ হাজার ২৪২ টাকা এসেছে।
২০১৩ সালে বাণিজ্যিক সংযোগে ই্উনিট প্রতি দাম ১০ টাকা ৩০ পয়সা ছিল কিনা এবং এতদিন আবাসিক গ্রাহক বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কি ভূমিকা রেখেছেন এ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গেছেন।